‘বেইজিঙের সৌন্দয্য’ চিত্রপ্রদর্শনীর উদ্বোধন করলেন
তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, চীনের আকর্ষণীয় চিত্রকর্ম প্রদর্শনীর মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা আরো সুদৃঢ় হবে। চীন আমাদের বহুদিনের বন্ধুপ্রতীম দেশ। বাংলাদেশের উন্নয়নে চীনের সহযোগিতা অনস্বীকার্য। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, বিভিন্ন সেতু এবং বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্রসহ নানা ক্ষেত্রে চীন বাংলাদেশকে সহযোগিতা দিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে দারিদ্রমুক্ত ও মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে প্রদানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ভিশন ২০২১’ প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মধ্যদিয়ে এই ভিশন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী বিদেশী ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে অর্থ বিনিয়োগের জন্য সব ধরণের সহযোগিতা দেয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন।
বুধবার ৯ নভেম্বর ঢাকাস্থ শাহবাগে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে বেইজিং মিউনিসিপাল সরকারের তথ্য কার্যালয়ের সৌজন্যে ও ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত “বেইজিঙের সৌন্দর্য” শীর্ষক সপ্তাহব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
“বেইজিঙের সৌন্দয্য” চিত্রপ্রদর্শনীর ছবির এ্যালবাম দেখতে এখানে ক্লিক করুন:
মন্ত্রী বলেন, চীন এখন বিশ্বের বড় অর্থনৈতিক শক্তি। আর তা সম্ভব হয়েছে চীনা নাগরিকদের অক্লান্ত শ্রমের কারণেই। তাই বাংলাদেশের উন্নয়নে বর্তমান সরকার চীনের আরও বেশি সহযোগিতা কামনা করছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে চীনা ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে পাওয়ার সেক্টরে বিনিয়োগের আহবান জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, চীনা দূতাবাস বিভিন্ন সময়ে তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ইতিহাস ও কৃষ্টি তুলে ধরে দু’দেশের সংস্কৃতি আদান প্রদানেও অবদান রেখে চলেছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি)’র কেন্দ্রীয় পলিটব্যুরোর সদস্য ও সিসিপি পেইচিং কমিটির সম্পাদক লিও ছি।
বক্তব্য শেষে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ এবং চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি)’র কেন্দ্রীয় পলিটব্যুরোর সদস্য ও সিসিপি পেইচিং কমিটির সম্পাদক লিও ছি লাল ফিতা কেটে “বেইজিঙের সৌন্দর্য” শীর্ষক সপ্তাহব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।
এসময় ঢাকাস্থ চীনা রাষ্ট্রদূত চাং শিয়েন-ই, পেইচিং সাংস্কৃতিক ব্যুরোর মহাপরিচালক শিয়াং পেই, পরিচালক সান পো সহ ১৯ সদস্যের একটি চীনা প্রতিনিধিদল, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি, সাংস্কৃতিক সচিব সুরাইয়া বেগমসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এবং সিআরআই-সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাবের প্রতিনিধিবৃন্দ এ মনোজ্ঞ প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন।
প্রদর্শনীতে প্রায় ৮০টি আলোকচিত্রের মাধ্যমে বিগত দুই হাজার বছরের চীনা ইতিহাস ও ঐতিহ্য ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরেছে চীনা দূতাবাস।
এ চিত্র প্রদর্শনী ৯ নভেম্বর বুধবার হতে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সর্বস্তরের দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে (বৃহস্পতিবার বন্ধ)। এছাড়া শুক্রবার বিকেল ২:৩০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
দিদারুল ইকবাল
মনিটর
চীন আন্তর্জাতিক বেতার
ঢাকা, বাংলাদেশ।
0 comments:
Post a Comment