Friday, May 18, 2012

সিআরআই ‘মনিটর পরিচিতি’ হিসেবে সাক্ষাৎকার ধারণ


আজ ১৮ই মে ২০১২ অর্থাৎ ১:৪৩ মিনিটের সময় চীন আন্তর্জাতিক বেতার বাংলা বিভাগ থেকে বিশেষজ্ঞ ছাই ইউয়ে মুক্তা (রেকর্ডিং স্টুডিও +৮৬১০৬৮৮৯১৫৬৪) মনিটর পরিচিতি হিসেবে আমার একটি সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন। যার স্থায়ীত্ব ছিলো ১৪ মিনিট ৪৩ সেকেন্ড (এডিট যোগ্য)। আগামী রোববার এটি সিআরআই থেকে প্রচারের সম্ভাবনা রয়েছে। শ্রোতাবন্ধুদের নিয়মিত সিআরআইর অনুষ্ঠান শুনার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। অনুষ্ঠান শুনুন প্রতিদিন সন্ধ্যে ৬:৩০-৭:৩০ পর্যন্ত এফএম- ১০৩.২ (ঢাকা) এবং ১০৫.৪ মেগাহার্জ (চট্টগ্রাম) অথবা শর্টওয়েভ ২৫, ৩১ ও ৪৯ মিটার ব্যান্ডে সন্ধ্যে ৭:০০-৮:০০টা, ৮:০০-৯:০০টা এবং ৯:০০-১০:০০টা পর্যন্ত।

সিআরআই মনিটর পরিচিতি

* নাম : দিদারুল ইকবাল

* পিতার নাম : মৃত মো:মানিক মিয়া

* মাতার নাম : আনোয়ারা বেগম

* পেশা : সমাজকর্মী ও ফ্রী-লান্স

* শখ: ডিএক্সীং, পত্রিকায় লেখালেখি এবং সম্পাদনা, ব্লগিং, ইন্টারনেট, সোস্যাল নেটওয়াকিং, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ, ডাকটিকেট, ব্যাজ, পোস্টকার্ড, কলম, মুদ্রা, কয়েন্স সংগ্রহ, রোমাঞ্চকর গল্পের বই পড়া, বন্ধুত্ব করা, সৃজনশীল লেখা (কবিতা, গল্প, নাটক), অভিনয়, সংগঠন পরিচালনা করা, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, করিওগ্রাফী, স্কাউটিং, হাইকিং, সাতার, ফুটবল খেলা, মাছ ধরা, বিভিন্ন সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করা।

* পছন্দের খাবার: ভুনা গরুর মাংস, ইলিশ মাছ ও ইলিশ মাছের ডিম, বড় চিংড়ি মাছ, কাঁকড়া, মরিচ ভর্তা, বিভিন্ন ফল

* বিশেষ গুণ: বিনয়ী, সরল, উদার, শৃংঙ্খলা ও ন্যায়বোধ, স্বচ্ছতা, নেতৃত্ব

* মূল্যবোধ: আমার মূল্যবোধ আমার বিবেক। আমি বিবেক দিয়ে বিচার করি।

* সিআরআইর মনিটর হিসেবে নিয়োগ পাওয়া আমার শ্রোতা জীবনের একটি শ্রেষ্ঠ অর্জন:

ছোট বেলা থেকে চীন আন্তর্জাতিক বেতার-এর অনুষ্ঠান শুনা শুরু করলেও বেতার কার্যক্রমের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়ার স্বপ্ন আমি স্বপ্নেও ভাবেননি কখনো ভাবিনি চীন এবং চীনা বন্ধুদের সাথে আমার একটি পারিবারিক বন্ধন তৈরী হবে। কিন্তু বর্তমানে বেতার কার্যক্রম অর্থাৎ চীন আন্তর্জাতিক বেতার এবং তার মধ্যকার যে সম্পর্ক তা আমাকে বিস্মিত করে জন্মের পর থেকে যেমন করে শিশু তার মায়ের কোমল ছোঁয়ায় ও আদর স্নেহের মধ্য দিয়ে ধিরে ধিরে কথা বলা শিখে, হাটা-চলা শিখে, বড় হতে শিখে এবং তার স্বপ্নের পৃথিবীতে বিচরণ করে মনের সুখে পরম আনন্দে তখন সে তার নাড়ীর টানও অটোমেটিক বুঝতে শিখে যায়। মাকে সে কিভাবে ভালোবাসে, কতোভাবে ভালোবাসে। তেমনি আমিও সিআরআই এর কোমল ছোঁয়ায় ও আদর স্নেহের মধ্য দিয়ে ধিরে ধিরে বড় হতে লাগলাম এবং মনের অজান্তে কখন, কিভাবে যেন সিআরআই-এর সাথে গভীর ভাবে জড়িয়ে পড়লাম স্বপ্নের ভুবনে সত্যি হয়ে। ফলে আমি এখন যখন, যেখানে, যেভাবে থাকিনা কেন কোথায় যেন আমার মা এবং মাতৃভূমির পর আরোও একটি নাড়ীর টান খুজে পায় সবসময় আর সেটা হচ্ছে আমার দ্বিতীয় মাতৃভুমি চীন! এখানে পৃথিবীর বিখ্যাত সব শব্দ এনে লিখে দিলেও বুঝানো যাবেনা যে আমি আমার দ্বিতীয় মাতৃভুমি চীনকে, সিআরআই-কে কিভাবে ভালোবাসি, কতোভাবে ভালোবাসি! এই ভালোবাসার টানে দীর্ঘ বছর ধরে আমি সিআরআই এবং চীনের বিভিন্ন তথ্য ও সাংস্কৃতিক প্রচার প্রচারনায় নিরলসভাবে কাজ করে আসছি। এই কাজের মধ্য দিয়ে আমি পেয়েছি চীনের অনেক গুণি মানুষের সান্নিধ্য। যাদের আন্তরিকতা, ভালোবাসা, সহযোগিতা এবং প্রশংসা আমাকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে এখনো পর্যন্ত উৎসাহ ও সাহস জাগিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে সিআরআই এবং চীনা বন্ধুদের সাথে এই দীর্ঘ পথচলায় সাংগঠনিক কাজের দক্ষতা হিসেবে পেয়েছি অনেক পুরস্কার এবং সন্মান। যা কখনো ভুলার মত নয়। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই) বাংলা বিভাগের মনিটর হিসেবে নিয়োগ পাওয়া। এটা আমার শ্রোতা জীবনে পাওয়া এখনো পর্যন্ত শ্রেষ্ঠ অর্জন। যাতে আমি গর্বিত, আনন্দিত, উদ্বেলিত এবং উৎফুল্ল। এটা এক অসাধারণ ব্যাপার। সিআরআই যে আমার দক্ষতা ও কাজের উপযুক্ত মূল্যায়ন করেছে এটা তার অন্যতম একটি উদাহরণ। ২০১১ সালে যখন সিআরআই বাংলা বিভাগের পরিচালক মাদাম ইউ কোয়াং য়ূএ আমাকে মনিটর হিসেবে দ্বিতীয় বারেরমত নির্বাচিত করার খবরটি মোবাইলে ফোন করে জানালেন তখন আমি বিশ্বাস-ই করতে পারছিলাম না যে আমি সত্যি শুনছি কিনা। তখন এক অন্যরকম অনুভূতি হয়েছিলো মনে যা শুধু অনুভব করা যায় কিন্তু লেখার ভাষায় সেটা প্রকাশ করা যায়না। বর্তমানে আমি সিআরআইর সাথে সরাসরি কাজ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। সিআরআই আমাকে যে সন্মান দিয়েছে সেটা রক্ষা করতে আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাবো। উল্লেখ্য ২০০৫ সালের ২ জানুয়ারি শ্রোতাদের চিঠিপত্র জবাবের অনুষ্ঠান চাওয়া-পাওয়ায় সিআরআই বাংলা বিভাগের পরিচালক মাদাম ইউ কোয়াং য়ূএ এবং তৎকালীন বিশেষজ্ঞ মহিউদ্দিন তাহের বাংলাদেশে প্রথম বারেরমত আমাকে সিআরআই এর মনিটর হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছিলেন।

সাংগঠনিকভাবে সিআরআইর প্রচার প্রচারনায় বিভিন্ন সময়ে নানা ভাবে যারা আমাকে সহযোগিতা করেছেন এবং আমি যাদের কাছে অনেক কৃতজ্ঞ তারা হলেন, বাংলাদেশস্থ চীনা দূতাবাসের সাবেক রাষ্ট্রদূত মি.চাইশি, সাবেক সাংস্কৃতিক কাউন্সেলর মাদাম রেনশিওঝি, মহাসচিব ইয়াওপলাই, এটাশি মিস জিন, চীন আন্তর্জাতিক বেতার বাংলা বিভাগের পরিচালক মাদাম ইয়ু কোয়াং য়ুএ, উপ-পরিচালক চিয়াং চিং ছেং, বিশেষজ্ঞ ফোং শিউ ছিয়েন, চুং শাওলি, সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাসরুমের সাবেক পরিচালক ও সিআরআই প্রতিনিধি ইয়াং ওয়েই মিং স্বর্ণা, সিআরআই-এর সাবেক ভাষা বিশেষজ্ঞ মহিউদ্দিন তাহের, বর্তমান বিশেষজ্ঞ ছাই ইউয়ে মুক্তা, ছাও ইয়ান হুয়া সুবর্ণা, ওয়াং ছুই ইয়াও জিনিয়া, শিয়ে নান আকাশ, আবাম সালাউদ্দিন, শিহাবুর রহমান, বাংলাদেশ প্রতিনিধি মাহমুদ হাশিম, সি.আর.আই. লিসনার্স ক্লাব অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউল করিম বেলাল, মহাসচিব জিল্লুর রহমান জিলু, শ্রোতাবন্ধু তাছলিমা আক্তার লিমা, এম.ফোরকান, শহীদুল কায়সার লিমন প্রমূখ।

* সিআরআইর মনিটর হিসেবে আমার ভবিষ্যৎ কিছু কর্মপরিকল্পনা:

চীন আন্তর্জাতিক বেতারের মনিটর হিসেবে আমি আগামীতে যে কাজগুলো করতে চাই সেগুলি হচ্ছে- (১) সিআরআই এবং বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্পর্ক উন্নয়নে তথ্য, শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রচারনায় সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, মেলা প্রদর্শনী, লোকজ মেলার আয়োজন করা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, চলচ্চিত্র প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা, (২) চীনের গুরুত্বপূর্ন সাংস্কৃতিক উৎসবের প্রচার প্রচারনায় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা, (৩) বিভিন্ন ডিএক্সার-দের নিয়ে ডিএক্সীং বিষয়ক একটি মাসিক অনুষ্ঠান তৈরী করে সিআরআই-তে প্রচারের ব্যবস্থা করা, (৪) সিআরআইর মাসিক অনুষ্ঠানের পর্যালোচলা করতে বিভিন্ন শ্রোতাদের অংশগ্রহনে প্রতি মাসে একটি করে মোবাইল কনফারেন্স এর আয়োজন করা, (৫) নিত্যনতুন ইন্টারনেট ওয়েবসাইট পরিসেবার মানউন্নয়নে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সিআরআই-কে সহযোগিতা করা, (৬) সামাজিক যোগাযোগ সাইট, মাইক্রোব্লগিং এবং ব্লগিং পরিসেবা চালুর করার বিষয়ে সিআরআই-কে সহযোগিতা করা, (৭) সিআরআইর এফ.এম প্রচারনায় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা, (৮) বাংলাদেশের সর্বত্র অঞ্চলভিত্তিক শ্রোতা জরিপের মাধ্যমে সিআরআই এর শ্রোতা সংখ্যা বাড়ানো, (৯) নবীণ শ্রোতাদের চীন আন্তর্জাতিক বেতারে চিঠিপত্র লেখার নিয়মাবলী সম্পর্কে প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা, (১০) বাংলাদেশের বিভিন্ন শহর, উপশহর, থানা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিয়ন, গ্রাম, এবং পার্বত্য অঞ্চলের শ্রোতাদের সাথে যোগাযোগ করে সিআরআইর অনুষ্ঠান সম্পর্কে তাদের মতামত নিয়ে সিআরআই কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরা, (১১) তৃণমূল পর্যায়ে শ্রোতাদের সিআরআই ও চীনের বিভিন্ন প্রচার প্রচারনায় অংশ নিতে সহযোগিতা করা এবং তাদের সাংগঠনিক অবস্থা তুলে ধরা, (১২) ঢাকার উত্তরায় সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাসরুমের চীনা ভাষা শিক্ষার বহূবিধ উন্নয়নে এবং প্রচারনায় যৌথভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা, (১৩) সিআরআই বাংলা বিভাগের আসছে ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এখন থেকে নানাবিধ প্রচারনার উদ্যোগ নেওয়া, (১৪) সিআরআই, চীন এবং কনফুসিয়াস ক্লাসরুমের বিভিন্ন তথ্য বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়া (রেডিও, টেলিভিশন), বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়া এবং সিআরআই-সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাবের ওয়েবসাইটে তুলে ধরা/প্রকাশ করার ব্যবস্থা করা, ইত্যাদি।

* আমার সাথে যোগাযোগের ঠিকানা:

দিদারুল ইকবাল,

মনিটর,

চীন আন্তর্জাতিক বেতার,

বাড়ী- ৩৩৬, সেকশন- ৭, রোড- ২,

মিরপুর, ঢাকা- ১২১৬, বাংলাদেশ।

* মোবাইল: ০১৭১১০৫৪৯৮৫, ০১৮১৪২৭৮৩৪৩

* ই-মেইল : monitor.cri@gmail.com,

* ওয়েবসাইট : www.cri-sarc.blogspot.com,


ধন্যবাদ,

দিদারুল ইকবাল

মনিটর

চীন আন্তর্জাতিক বেতার

ঢাকা, বাংলাদেশ।

0 comments:

CRI's Excellent Audiences' Club Award 2013

CRI's Excellent Audiences' Club Award 2013

China's Travel Island Hainan Contest Award