Friday, July 17, 2009

চীন আন্তর্জাতিক বেতারের প্রতিনিধিদল ও বাংলাদেশ বেতারের মধ্যে এফ.এম প্রকল্প নিয়ে স্মারক স্বাক্ষরিত

চীন আন্তর্জাতিক বেতারের প্রতিনিধিদল ও বাংলাদেশ বেতারের মধ্যে
এফ.এম প্রকল্প নিয়ে স্মারক স্বাক্ষরিত

[ডি.এন ডেস্ক] ১২ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশ সফররত চীন আন্তর্জাতিক বেতারের উপমহাপরিচালক ওয়াং ইয়ুং ফোংয়ের নেতৃত্বে পরিচালিত তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, তথ্য সচিব ফজলুর করিম ও বাংলাদেশে বেতারের মহাপরিচালক মাহবুবুর আলমের সংগে সাক্ষাত করেছেন। সাক্ষাত্কালে দু পক্ষ বেতার ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের বিনিময় ও সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং প্রাথমিক সহযোগিতা সম্পর্কে একটি স্মারক স্বাক্ষর করেন।
সাক্ষাত্কালে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা বিভাগের পরিচালক ইয়ু কুয়াং ইউয়ে বাংলাদেশের বেতারের মহাপরিচালক মাহবুবুরের সংগে বাংলাদেশে এফ এমের মাধ্যমে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের অনুষ্ঠান প্রচার সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং এ ক্ষেত্রে দু পক্ষের সহযোগিতা সম্পর্কে একটি স্মারক স্বাক্ষর করেন। এ বছরের প্রথমার্ধে এ প্রকল্প চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চীন আন্তর্জাতিক বেতারের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের চেয়ারম্যান শওকত মোহাম্মদের আমন্ত্রণে দক্ষিণ এশিয় সাংবাদিক সম্মেলনে অংশ নেয়ার জন্যে ৯ ফেব্রুয়ারী ঢাকায় এসেছেন।

চীন আন্তর্জাতিক বেতার বাংলা বিভাগের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ঢাকায় আনন্দঘন উদযাপনী অনুষ্ঠান

চীন আন্তর্জাতিক বেতার বাংলা বিভাগের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে
ঢাকায় আনন্দঘন উদযাপনী অনুষ্ঠান
[মাহমুদ হাশিম, সংবাদদাতা- সি.আর.আই (বাংলা বিভাগ) ঢাকা ] চীন আন্তর্জাতিক বেতারের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকায় এক আনন্দঘন উদযাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটমন্ডলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ-চায়না রেডিও লিসনার্স ক্লাবের সভাপতি সৈয়দ রেজাউল করিম বেলাল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্লাবের মহাসচিব জিল্লুর রহমান জিলু। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের সাংস্কৃতিক কাউন্সিলর লিউ সান জেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক শওকত মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মনসুর মুসা ও অধ্যাপক ড. মৃদুল কান্তি চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সিআরআই বাংলা বিভাগের সাবেক বিশেষজ্ঞ মহিউদ্দিন তাহের।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শওকত মাহমুদ তাঁর সাম্প্রতিক চীন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। সিআরআই বাংলা বিভাগের আমন্ত্রণে তিনি এ সফর করেন। তিনি বলেন, অনেক কষ্ট স্বীকার করে চীনা বন্ধুরা বাংলাদেশের শ্রোতাদের জন্য বাংলা অনুষ্ঠান প্রচার করেন। এজন্য তিনি সিআরআই বাংলা বিভাগের সকল কর্মীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। এফএম-এ বাংলা বিভাগের অনুষ্ঠান প্রচারের লক্ষ্যে সিআরআই উদ্যোগ নেওয়ায় শওকত মাহমুদ সন্তোষ ব্যক্ত করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এর ফলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে সিআরআই বাংলা বিভাগের খবর ও শ্রোতা কার্যক্রম আরো বিস্তৃত হবে।
ড. মনসুর মুসা বলেন, সিআরআই বাংলা বিভাগের ৪০ বছর পূর্তি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। তিনি বলেন, সিআরআই বাংলা বিভাগ হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের কাছে চীনকে জানার জানালা। চীনা দূতাবাসের সাংস্কৃতিক কাউন্সিলর লিউ সান জেন বলেন, ৪০ বছর আগে সিআরআই বাংলা বিভাগের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। এ ৪০ বছরে বাংলা অনুষ্ঠান বাংলাদেশী বন্ধুদের কাছে অনেক জনপ্রিয় হয়েছে।
এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঘরে বসে বাংলাদেশের শ্রোতাবন্ধুরা চীন ও বিশ্বের খবর জানতে পারেন। ৪০ বছর পূর্তিতে দূতাবাসের পক্ষ থেকে বাংলা বিভাগের সকল কর্মী, বিশেষজ্ঞ ও শ্রোতাদের আন্তরিক শুভ কামনা জানান লিউ সান জেন। সভাপতি সৈয়দ রেজাউল করিম বেলাল বলেন, অনেক তাড়াহুড়ো করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় সারা দেশে সিআরআই এর অগণিত শ্রোতাবন্ধুকে আমন্ত্রণ জানানো সম্ভব হয়নি। এজন্য তিনি আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেন।
সিআরআই বাংলা বিভাগের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ ও প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দীন আহমদ পৃথক পৃথক বাণী দেন। অনুষ্ঠানে তাঁদের বাণী পাঠ করে শোনান মহিউদ্দিন তাহের। বাণীতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, সিআরআই বাংলা বিভাগের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো জোরদার হবে। সিআরআই বাংলা বিভাগের পরিচালক মাদাম ইউ কুয়াং ইয়্যূ-এর বাণীও পাঠ করা হয় অনুষ্ঠানে। বাণীতে মাদাম ইউ বাংলাদেশ ও ভারতের লক্ষ লক্ষ শ্রোতাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, শ্রোতাদের অকুন্ঠ ভালোবাসা আর ঐকান্তিক সহযোগিতায় সিআরআই বাংলা বিভাগ বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, শ্রোতাদের সহযোগিতা, সমর্থন ও অনুপ্রেরণা অব্যাহত থাকলে বাংলা বিভাগ ভবিষ্যতে উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়ে উঠবে।
ভিডিও প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বর্তমানে চীন বেতারের বাংলা বিভাগে কর্মরত সকল সংবাদকর্মীকে অতিথিদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন বাংলা বিভাগের কর্মী ও বর্তমানে ঢাকায় চীনা দূতাবাসে কর্মরত কালচারাল এটাশে ছাও ইয়ান হুয়া । চীন বেতারে তার কাজ করার অভিজ্ঞতার কথাও চমত্কার বাংলায় তুলে ধরেন ছাও ইয়ান হুয়া। শ্রোতা প্রতিনিধি হিসেবে সম্প্রতি চীন সফরকারী শ্রোতাবন্ধু লুত্ফর রহমানও অনুষ্ঠানে তার চমত্কার অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেন।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত ও নাট্যকলা বিভাগের শিল্পীরা একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ-চায়না রেডিও লিসনার্স ক্লাবের মহাসচিব জিল্লুর রহমান জিলুর কন্যা জয়ী একটি চীনা সংগীত পরিবেশন করে সবাইকে মুগ্ধ করে।
সিআরআই বাংলা বিভাগ ও চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের উপহার দেওয়া হয়। শ্রোতাদের পক্ষ থেকে সাংস্কৃতিক কাউন্সিলর লিউ সান জেনকে হাতে সেলাই করা একটি সুন্দর রুমাল উপহার দেন ঢাকার বন্ধু তাসলিমা আক্তার লীমা । অনুষ্ঠানে শ্রোতা সংঘ প্রতিনিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাবের পরিচালক দিদারুল ইকবাল, সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, গাজীপুর শাখা রেমাশ আন্তর্জাতিক বেতার শ্রোতা সংঘের সভাপতি শহীদুল কায়সার লিমন, সাধারণ সম্পাদক মো: কবির হোসেন, সামিবাগ সিআরআই লিসনার্স ক্লাবের সভাপতি মো: ওসমান গনি প্রমূখ।

CRI's Excellent Audiences' Club Award 2013

CRI's Excellent Audiences' Club Award 2013

China's Travel Island Hainan Contest Award