Thursday, March 18, 2010

'সাংহাইয়ে মিলিত হয়ে চমত্কার বিশ্ব মেলা উপভোগ' শীর্ষক জ্ঞান যাচাই প্রতিযোগিতার ঘোষণা


'সাংহাইয়ে মিলিত হয়ে চমত্কার বিশ্ব মেলা উপভোগ'

শীর্ষক জ্ঞান যাচাই প্রতিযোগিতার ঘোষণা


2010-02-17 21:04:41 cri


বন্ধুরা, সাংহাই বিশ্ব মেলা ১ মে থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। বিদেশের ব্যাপক জনগণকে নিজের মাতৃভাষায় বিস্তারিতভাবে সাংহাই বিশ্ব মেলার প্রসঙ্গ, প্যাভিলিয়ন ও কর্মসূচীসহ নানা তথ্য জানানো এবং মানবজাতির জীবনের ওপর শহরের বিশেষ তাত্পর্য বিশ্লেষণ করার জন্য চীন আন্তর্জাতিক বেতার ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত বেতার ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে 'সাংহাইয়ে মিলিত হয়ে চমত্কার বিশ্ব মেলা উপভোগ' শীর্ষক বিশ্বব্যাপী জ্ঞান যাচাই প্রতিযোগিতা সংক্রান্ত ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রচার করবে এবং এ সম্পর্কিত প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে। এতে অংশগ্রহণের জন্য আপনাদের স্বাগত জানাই।
আমাদের বেতারের আয়োজিত অতীতের অন্যান্য প্রতিযোগিতার মতো এবারও আমরা প্রতিটি প্রতিবেদনের শেষে দুটি প্রশ্ন করবো। আমরা শ্রোতাদের উত্তর পত্র থেকে শ্রেষ্ঠ, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার বিজয়ীদের নির্বাচন করবো। তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার বিজয়ী আমাদের আতিথেয়তায় চীন ভ্রমণের সুযোগ পাবেন।
প্রতিযোগিতায় আপনার ভালো ফলাফল অর্জন কামনা করি।



'হাইবাও' তোমাকে নিয়ে বিশ্ব মেলা উদ্যানের ভ্রমণ


2010-02-18 19:24:38 cri


সাংহাই বিশ্ব মেলার মাস্কটের নাম 'হাইবাও' তা দেখতে পাকা চুলের এবং হাসি মুখের নীল রঙের শিশুর মত। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের বিশ হাজারেরও বেশি শিল্পকর্মের মধ্য থেকে তাকে নির্বাচন করা হয়েছে। 'হাইবাও' এর অর্থ হচ্ছে সাগরের মুক্তা। বহু চীনা মানুষ 'বাও' দিয়ে সন্তানের নামকরণ করতে পছন্দ করেন। হাইবাও সমুদ্রে জন্মগ্রহণ করেছে। কারণ সে সারা বিশ্বের অপার স্নেহ ও সমর্থন পেয়েছে, সাংহাই বিশ্ব মেলায় অংশগ্রহণকারী দেশ, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বিশেষ ব্যক্তিবর্গের আদর পেয়েছে। ফলে তাকে 'হাইবাও' বলে ডাকাই উপযুক্ত। আজ আমি আপনাদের নিয়ে সাংহাই বিশ্ব মেলা উদ্যানে গিয়ে ঘুরে বেড়াবো।
প্রথমে আমরা একসাথে সাংহাই বিশ্ব মেলার পাঁচটি প্রধান স্থাপত্য দেখতে যাবো। তা হচ্ছে বিশ্ব মেলা বলয়, চীন ভবন, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, বিশ্ব মেলা কেন্দ্র আর প্রসঙ্গ ভবন। বিশ্ব মেলা বলয় হচ্ছে সাংহাই বিশ্ব মেলার প্রধান প্রবেশ দ্বার। তার ডান ও বাম দিকে সংলগ্ন রয়েছে যথাক্রমে চীন ভবন, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, বিশ্ব মেলা কেন্দ্র আর প্রসঙ্গ ভবন। এ স্থাপত্যগুলো দেখতে একটি পাল তুলে যাওয়া জাহাজের মতো, ঠিক যেন দর্শকদের স্বাগত জানাচ্ছে। চীন ভবনের মূল রং হচ্ছে লাল রং। দর্শকরা এখানে খুব কাছে থেকে চীনের সংস্কৃতি ও রীতিনীতি অনুভব করতে পারবেন। সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হুয়াংফু নদীর পাশে অবস্থিত। রাতে এ ভবন দেখতে একটি আলোকিত শামুকের মতো। বিশ্ব মেলা চলাকালে বিরাটাকারের নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচী এখানেই অনুষ্ঠিত হবে।
সাংহাই বিশ্ব মেলা-২০১০ এর প্রসঙ্গ হচ্ছে 'শহরঃ জীবনকে আরো সুন্দর করে তোলে'। এ প্রসঙ্গকে আরো গভীরভাবে তুলে ধরার জন্য এবারের বিশ্ব মেলায় একটি বিশেষ প্রসঙ্গ ভবন নির্মিত হয়েছে। তাতে শহর, মানুষ ও প্রাণ এবং পৃথিবী ও ভবিষ্যতের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। তা ছাড়া, বিশ্ব মেলা কেন্দ্র হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের অধিবেশন ও প্রেস ব্রিফিং-এর জায়গা এবং ভোজসভা ও মাননীয় অতিথিদের অভ্যর্থনা জানানোর স্থান।
সাংহাই বিশ্ব মেলায় আরো অনেক চমত্কার বিদেশী ভবন রয়েছে। যেমন বৃটেন ভবনের বাইরে বিপুল পরিমাণে আলোকিত শৃঙ্গ রয়েছে। তা বাতাসের সাথে সাথে দুলবে এবং বিভিন্ন রঙ ও নকশা বদলে যাবে। স্পেন ভবনের বাইরের দেওয়াল বেতের লতা দিয়ে বাঁধানো, দেখতে স্পেনের ফ্ল্যামেনকো নৃত্যের পোশাকের মতো। জাপান ভবন দেখতে একটি বেগুনি আভার রেশমগুটির শুঁটির মতো। সংযুক্ত আরব আমিরাত ভবন যেন এক প্রাকৃতিক রঙিন বালিয়াড়ির মতো। সিঙ্গাপুর ভবন দেখতে একটি সুন্দর সংগীত বাক্সের মতো। বলা যায়, সব দেশের ভবনই নিজ নিজ দেশের বিশিষ্ট্যপূর্ণ সংস্কৃতি এবং ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করছে। প্রদর্শনের বিষয়বস্তু হিসেবে ফ্রান্স ভবনে ভ্যান গগ আর রোডিনসহ বিখ্যাত চিত্রশিল্পীদের মূল্যবান শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হবে। ডেনমার্ক ভবনে প্রথমবারের মতো ডেনমার্কের রাষ্ট্রীয় সম্পদ 'ছোট লেজওয়ালা সুন্দরী'র মূর্তি বিদেশি দর্শকদের আকৃষ্ট করবে। ইতালি ভবনে সুস্বাদু খাবারের বিশিষ্ট্যময় জীবনযাপন প্রদর্শিত হবে। ব্রাজিল ভবনে ফুটবলের আকর্ষণীয় শক্তি আর উষ্ণ সাম্বা নৃত্যের সৌন্দর্য্য প্রদর্শন করা হবে।
সাংহাই বিশ্ব মেলা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রের উদ্ভাবন প্রদর্শনীর অন্যতম স্থান। অনেক দেশ নিজের সর্বশেষ প্রযুক্তিগত সাফল্য নিয়ে এসেছে। তা ছাড়া কম কার্বন বিশ্ব মেলা হচ্ছে এবারের বিশ্ব মেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। বিশ্ব মেলা উদ্যানের স্থাপত্যগুলোতে জ্বালানি ও পানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণসহ সৌর শক্তি ও পুনঃব্যবহার্য উপাদান ব্যবহার হয়েছে। বিশ্ব মেলা চলাকালে এক হাজারটিরও বেশি নতুন জ্বালানি চালিত গাড়ি আদর্শ হিসেবে ব্যবহার হবে। উদ্যানে পরিসেবা করা গাড়িগুলো থেকে শূন্য কার্বন নির্গমন হবে।
তা ছাড়া সাংহাই বিশ্ব মেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মহাসম্মিলনী হবে। ১৮৪ দিনব্যাপী মেলা চলাকালে ২০ হাজার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে। বৃটেনের জাতীয় ব্যালে নৃত্য দল ও ফিলাডেলফিয়ার সিমফনি অর্কেস্ট্রাসহ বিশ্বের বিখ্যাত শিল্পী দলগুলো এখানে বিশেষ অনুষ্ঠান পরিবেশন করবে। তা ছাড়া ব্রাজিলের সাম্বা নৃত্য, বুরুন্ডির ডঙ্কা ও সলোমন দ্বীপপুঞ্জের বাঁশিসহ বিভিন্ন অঞ্চলের বিশেষ প্রথা অনুসারে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ অনুষ্ঠানও পরিবেশিত হবে।
বন্ধুরা, এ বার আমি আজকের এ প্রতিবেদনের দু'টি প্রশ্ন করছি। প্রশ্ন দুটি খুব কঠিন নয়, আশা করি, আপনারা সঠিক উত্তর দেবেন।
১। সাংহাই বিশ্ব মেলার মাস্কটের নাম কি?
২। আপনি সাংহাই বিশ্ব মেলার পাঁচটি প্রধান স্থাপত্যের মধ্যে যে কোন দু'টির নাম বলুন।


আপনাদের নিয়ে চীন ভবন দেখা


2010-02-22 15:18:28 cri

বন্ধুরা, সাংহাই বিশ্ব মেলা ১ মে উদ্বোধন হবে। ১৮০ দিনেরও বেশি মেলা চলাকালে সাংহাই বিশ্ব মেলা উদ্যান বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের বন্ধুদের অর্ভ্যথনা জানাবে। আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদের সাংহাই বিশ্ব মেলার স্বাগতিক ভবন – চীন ভবনে নিয়ে যাবো।
চীন ভবন সাংহাই বিশ্ব মেলা উদ্যানের কেন্দ্র স্থল অবস্থিত। এ ভবনে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে চীনের জাতীয় ভবন, চীনের আঞ্চলিক ভবন আর হংকং, ম্যাকাও ও তাইওয়ান ভবন। চীন ভবনকে চীনের রাষ্ট্রীয় নাম কার্ড বলা যায়। এটা হচ্ছে দর্শকদের কাছে থেকে চীনের সংস্কৃতিকে জানা, চীনাদের চিন্তাধারা এবং আধুনিক চীনের মূল্যবোধ অনুভব করার জানালা।
চীনের জাতীয় ভবনের আয়তন সাংহাই বিশ্ব মেলার সব প্রদর্শনী ভবনের মধ্যে সবচেয়ে বড়। এর ছাদ আড়াইটি ফুটবল মাঠের চেয়েও বড়। চীনের জাতীয় ভবনটি গভীর চীনের রীতিনীতি প্রতিফলিত হয়েছে। এর বাইরের দেয়ালের রং হচ্ছে চীনা লাল রং। চীনের জাতীয় ভবনটি দেখতে চীনের প্রাচীন রাজমুকুটের মতো।
চীনের আঞ্চলিক ভবন হচ্ছে বিভিন্ন প্রদেশকে প্রদর্শনের স্থান। এর নকশা চীনের প্রাচীনকালের বহু ঐতিহ্যগত উপাদান ব্যবহার হয়েছে। আঞ্চলিক ভবনের বাইরের বারান্দার দেয়ালে চীনের প্রাচীনকালের রাজবংশের নামের ৩৪টি চীনা শব্দ লেখা রয়েছে। তা দিয়ে চীনের সংস্কৃতির সুদীর্ঘ ইতিহাসকে বুঝা যায়। চীনের সব প্রদেশ সাংহাই বিশ্ব মেলায় নিজেদের প্রদর্শন করবে। তখন আপনারা সাংহাই বিশ্ব মেলার চীনের আঞ্চলিক ভবনে একবার ঘুরে দেখলে চীনের বিভিন্ন অঞ্চলের রীতিনীতির ওপর মোটামুটি একটি ধারণা পাবেন।
এবার আমরা হংকং ভবন, ম্যাকাও ভবন ও তাইওয়ান ভবনে যাব। হংকং ভবনের প্রসঙ্গ হচ্ছে 'সীমাহীন শহর—হংকং'। এ ভবনটি হংকংয়ের ছয়টি বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সম্পর্কিত। যেমন হংকংয়ের বিশেষ ভৌগলিক অবস্থা, সুসম্পন্ন বুনিয়াদী ব্যবস্থা, বিশ্ব ও চীনের মূলভূভাগের শহরগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ, হংকংয়ের সুবিধাজনক পরিবহন ব্যবস্থা, উন্নত মানের তথ্য প্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা, চীন ও পশ্চিমা সংস্কৃতির মিলন, সমৃদ্ধ উদ্ভাবন ও টেকসই উন্নয়নের শ্রেষ্ঠ শহর জীবন ইত্যাদি। ম্যাকাও ভবন দেখতে এক লাবন্য খরগোশের মতো। এর বাইরে পাতলা কাচ দিয়ে সাজানো, এর রং বদলে যায় এবং বিভিন্ন ছবি প্রদর্শন করা যায়। 'খরগোশের' মাথা ও লেজে একটা বেলুন আছে। বেলুনটি ইচ্ছা মতো ওঠা-নামা করতে পারে। বিশ্ব মেলা চলাকালে ম্যাকাও ভবনে আসা দর্শকরা একটি খরগোশ আকারের ফানুস উপহার পাবেন।
ভবনের স্থপতি জানিয়েছেন, তাইওয়ান ভবনের আকার চীনের প্রাচীনকালের খুংমিং লন্ঠন থেকে অনুপ্র্রেরণা পেয়েছে। এ ভবনটি পাহাড়ী আকারের স্থাপত্য, বিরাটাকারের কাচ দিয়ে তৈরি স্বর্গীয় লণ্ঠন আর গোলাকার পর্দা নিয়ে গঠিত। স্বর্গীয় লন্ঠনকে জ্বালিয়ে শুভ জীবন কামনা করা এবং 'প্রাকৃতিক শহর', 'আত্মাযুক্ত শহর' প্রসঙ্গের গোলাকার চলচ্চিত্র দেখা হচ্ছে তাইওয়ান ভবনের প্রধান প্রদর্শনির বিষয়।
বন্ধুরা, এবার আমি এ প্রতিবেদন থেকে দুটি প্রশ্ন করবো। প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে, সাংহাই বিশ্ব মেলা কোন তারিখ উদ্বোধন হবে? দ্বিতীয় প্রশ্ন হচ্ছে, সাংহাই বিশ্ব মেলার চীনের জাতীয় ভবনের রং কী রকম?

আপনাদের নিয়ে সাংহাই ভ্রমণ করি


2010-02-22 15:20:37 cri


বন্ধুরা, সাংহাই বিশ্ব মেলা পরিদর্শনের সময় চীনের মহানগর সাংহাই ভ্রমণ করতে ভুলবে না কিন্তু। আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদের নিয়ে সুন্দর সাংহাই শহর ঘুরে বেড়াবো।
প্রথম ধাপ হিসেবে আমরা সুবিখ্যাত ওয়াইথানে যাবো। সাংহাই শহরের মাতৃ নদী হুয়াংফু নদীর পশ্চিম তীরে দেড় বর্গমিটার এক সংকীর্ণ অঞ্চলে চীন ও পশ্চিমা স্টাইলের প্রায় পঞ্চাশটিরও বেশি বিভিন্ন ধরনের স্থাপত্য রয়েছে। 'ওয়াইথান' নামক এ অঞ্চলকে সাংহাই শহরের দেহরেখা বলা হয়
সন্ধ্যা বেলা হুয়াংফু নদীর পানি সূর্যাস্ত'র আলোতে কমলা রং হয়ে যায়। সে সময় সেখানকার পরিবেশ মনে হবে খুব রোমান্টিক। রাতে দর্শনীয় স্থানের প্রদীপ জ্বালিয়ে সাংহাইয়ের প্রতীকী স্থাপত্য – প্রাচ্য মুক্তা টেলিভিশন টাওয়ার, সাংহাইয়ের সর্বোচ্চ স্থাপত্য – চিনমাও ভবন দেখা যায়। এ স্থাপত্যগুলোর উজ্জ্বলতর আলোতে গোটা ওয়াইথান দেখতে খুবই সুন্দর।
সবাই বলে, সাংহাই হচ্ছে কেনাকাটার স্বর্গ। তাই সাংহাইয়ে আসলে কোথাও কেনাকাটা না করলে আপনি নিঃসন্দেহে অনুতাপ করবেন। সে জন্য আমাদের দ্বিতীয় ধাপে আপনাদের সাংহাইয়ের কেনাকাটার ভালো জায়গায় নিয়ে যাবো। চীনের প্রথম বাণিজ্য সড়ক ---সাংহাইয়ের নানচিং সড়কে বিরাট মার্কেট, এক'শ বছরের ইতিহাস সম্পন্ন পুরনো দোকান, নামকরা ট্রেডমার্ক দোকান আর বৈশিষ্ট্যময় দোকান রয়েছে। তা ছাড়া হুয়াইহাই সড়কও যাওয়ার ভালো জায়গা। সেখানে তরুণতরুণীদের পছন্দ মতো বিভিন্ন ট্রেডমার্কের পণ্য পাওয়া যায়। রাস্তার দু'পাশে বিভিন্ন নকশার দোকানপাট আর ক্ষুদ্র দর্শনীয় স্থান ও পার্কগুলোর সঙ্গে সুমিশ্রনে এক বিশেষ দৃশ্য সৃষ্টি হয়েছে। আপনি সেখানকার রাস্তায় অনেক মজার মজার ভাস্কর্য দেখতে পাবেন।
ঘুরে বেড়ানোর পর আমরা একটু বসে কফি খেয়ে বিশ্রাম নিলে ভালো। হুয়াংহাই রাস্তার নিকটে 'নতুন বিশ্ব মহাচত্বর' হচ্ছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নবোদিত এক পর্যটন ও বিনোদন স্থান। এখানকার স্থাপত্যগুলো বাইরে থেকে দেখতে পুরনো সাংহাইয়ের অধিবাসীদের বসতবাড়ির মতো, কিন্তু ভেতরে গেলে দেখা যাবে এক একটি বার, পশ্চিমা রেঁস্তোরা ও গল্ফ ক্লাব লুগিয়ে আছে। চীন ও পশ্চিমা সংস্কৃতি এখানে নিখুঁতভাবে মিলিত হয়েছে।
সাংহাই একটি আধুনিক মহানগর বটে, তবে এখানে অনেক ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক দর্শনীয় স্থানও রয়েছে। আমাদের তৃতীয় ধাপ হচ্ছে দক্ষিণ চীনের প্রাচীনকালের বিখ্যাত উদ্যান –ইয়ু ইউয়ান। ইয়ু ইউয়ানের ইতিহাস ৪৫০ বছরের। এখানে আগে এক ব্যক্তিগত বাড়ি ছিল। এখন এখানে চীনামাটি, আসবাবপত্র ও ছবিসহ বহু মূল্যবান পুরাকীর্তি সংরক্ষিত আছে। ইয়ু ইউয়ানের পাশে পুরনো চেংহুয়াং মন্দির আছে। কেউ কেউ বলেন, সাংহাই আসলে চেংহুয়াং মন্দির না গেলে সাংহাই না আসার মতো। তাহলে বুঝা যায়, চেংহুয়াং মন্দিরের সাংহাইয়ে শহরে কী বিশেষ মর্যাদা ও প্রভাব আছে। যারা সেখানে গিয়েছিলেন, তারা অবশ্যই সেখানের প্রাচীনকালের বিশিষ্ট্যপূর্ণ স্থাপত্য আর নানা বিশেষ সুস্বাদু খাবার মনে রাখবেন।
অবশেষে আমি আপনাদের সাংহাইয়ের গলিতে নিয়ে যাবো। যদি বলা যায়, গলি হচ্ছে পুরনো পেইচিংয়ের প্রতীক, তাহলে পুরনো সাংহাইয়ের কাছে গলি এক বিশেষ চিহ্নের মতো। সাংহাইয়ের পুরনো শহরাঞ্চলে অনেক সংকীর্ণ বা চওড়া গলি আছে। এ সুযোগে আমি বিশেষ করে চিংআন মন্দির কমিউনিটিতে থাকা ৭০টি 'বিশ্ব মেলা পরিবারের' কথা বলবো। আপনি এখানে সাংহাইয়ের গলি দেখার পাশাপাশি, সাংহাইবাসীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ করতে পারবেন।
বন্ধুরা, এবার আমি এ প্রতিবেদন থেকে দুটি প্রশ্ন করবো। প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে, সাধারণতঃ সাংহাইয়ের কোন অঞ্চলকে এ শহরের দেহরেখা বলা হয়? দ্বিতীয় প্রশ্ন হচ্ছে, 'চীনের প্রথম বাণিজ্য সড়ক' সাংহাইয়ের কোন সড়ককে বলা হয়?
'সাংহাইয়ে মিলিত হয়ে চমত্কার বিশ্ব মেলা উপভোগ'
শীর্ষক জ্ঞান যাচাই প্রতিযোগিতার প্রশ্নমালা

2010-02-22 15:30:51 cri

১। সাংহাই বিশ্ব মেলার মাস্কটের নাম কি?
'হাইবাও'
২। আপনি সাংহাই বিশ্ব মেলার পাঁচটি প্রধান স্থাপত্যের মধ্যে যে কোন দু'টি নাম বলুন।
বিশ্ব মেলা বলয়, চীন ভবন, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, বিশ্ব মেলা কেন্দ্র আর প্রসঙ্গ ভবন
৩। সাংহাই বিশ্ব মেলা কোন তারিখ উদ্বোধন হবে?
সাংহাই বিশ্ব মেলা ১ মে উদ্বোধন হবে
৪। সাংহাই বিশ্ব মেলার চীনের জাতীয় ভবনের রং কী রকম?
চীনা লাল রং
৫। সাধারণতঃ সাংহাইয়ের কোন অঞ্চলকে এ শহরের দেহরেখা বলা হয়?
'ওয়াইথান' নামক এ অঞ্চলকে সাংহাই শহরের দেহরেখা বলা হয়
৬।'চীনের প্রথম বাণিজ্য সড়ক' সাংহাইয়ের কোন সড়ককে বলা হয়?
চীনের প্রথম বাণিজ্য সড়ক ---সাংহাইয়ের নানচিং সড়ক
৭। সাংহাই বিশ্ব মেলা হচ্ছে কততম বিশ্ব মেলা?
৮। সাংহাই বিশ্ব মেলার প্রসঙ্গ কী?

CRI's Excellent Audiences' Club Award 2013

CRI's Excellent Audiences' Club Award 2013

China's Travel Island Hainan Contest Award