Monday, November 1, 2010

১ নভেম্বর থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমে চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই)-এর এফ.এম তরঙ্গে সম্প্রচার শুরু হচ্ছে

১ নভেম্বর থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমে
চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই)-এর
এফ.এম তরঙ্গে সম্প্রচার শুরু হচ্ছে


2010-10-30 21:04:02 cri

১ নভেম্বর থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রের এফ এম ব্যান্ডের মাধ্যমে চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই) তার বাংলা ও ইংরেজী অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার শুরু করতে যাচ্ছে।
ঢাকা থেকে ইংরেজী অনুষ্ঠানমালা শোনা যাবে প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত এবং বাংলা অনুষ্ঠান শোনা যাবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত এফএম ১০৩.২ মেগাহার্জে। একই সাথে প্রতিদিন চট্টগ্রাম থেকে বাংলা আনুষ্ঠান শোনা যাবে প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত এফএম ১০৫.৪ মেগাহার্জে।
এফএম তরঙ্গের পাশাপাশি পেইচিং থেকে প্রচারিত চীন আন্তর্জাতিক বেতার বাংলা বিভাগের অনুষ্ঠান শুনা যাবে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত শর্টওয়েভ ৩১.০৭ ও ২৫.৭৭ মিটার ব্যান্ডে; সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শর্টওয়েভ ৩১.৬১, ৩১.২৫ ও ২৫.৮৪ মিটার ব্যান্ডে এবং মিডিয়াম ওয়েভ ২৫২.৫৩ ব্যান্ডে; রাত ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত শর্টওয়েভ ৩১.৬১ ও ২৫.৮৪ মিটার ব্যান্ডে এবং মিডিয়াম ওয়েভ ২৩৬.৪১ ব্যান্ডে; এছাড়া রাত ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত শর্টওয়েভ ৩০.৯৬ মিটার ব্যান্ডে এবং মিডিয়াম ওয়েভ ৩১.২২ মিটার ব্যান্ডে সর্বমোট ৫বার (প্রতিবার এক ঘন্টা করে) অনুষ্ঠান শুনা যাবে।
উল্লেখ্য এক বছরেরও বেশি সময়ের যোগাযোগ ও প্রস্তুতির পর গত ১৭ মে ঢাকায় চীন আন্তর্জাতিক বেতার ও বাংলাদেশ বেতার আনুষ্ঠানিকভাবে বেতার সেবা সংক্রান্ত চুক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষর করেছে । এ চক্তি অনুযায়ী চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা ও ইংরেজী ভাষার এফ এম অনুষ্ঠান ঢাকা ও চটগ্রামে প্রচার করবে । বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসের রাজনৈতিক কাউসিলার ওয়াং ইয়ু ও বাংলাদেশ জাতীয় বেতারের মহাপরিচালক মাহবুবুল আলম আলাদা আলাদাভাবে চীন ও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন । বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রণালয় ও চীনা দূতাবাসের সাংস্কৃতিক বিভাগের কর্মকর্তারাও তখন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ।
২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের উপমহাপরিচালক ওয়াং ইয়ুন ফোংয়ের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফরের সময় বাংলাভাষার এফ এম অনুষ্ঠান সম্পর্কে বাংলাদেশের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী ও বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালকের সংগে সার্বিকভাবে আলোচনা করেন । উভয় পক্ষ বেতার ক্ষেত্রে দুই দেশের সহযোগিতা সম্পর্কে আশাবাদী । চুক্তিটির স্বাক্ষর বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিপুল সমর্থন পেয়েছে ।
এ চুক্তির স্বাক্ষর চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে । এফএম অনুষ্ঠান চালুর মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের শ্রোতারা আরো স্পষ্টভাবে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের নানা অনুষ্ঠান শুনতে পাবেন ।
চীন আন্তর্জাতিক বেতার ১৯৬৯ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে ৪১ বছর ধরে বাংলা অনুষ্ঠান প্রচার করে আসছে।

Monday, September 6, 2010

সকলকে ঈদুল ফিতর এর শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক

সকলকে ঈদুল ফিতর এর শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক


পবিত্র ঈদুল
ফিতর উপলক্ষে চীন আন্তর্জাতিক বেতার বাংলা বিভাগের পরিচালক মাদাম ইউ কোয়াং য়ূএ সহ বাংলা বিভাগের সকল কর্মী এবং চীন আন্তর্জাতিক বেতার বাংলা বিভাগের সকল শ্রোতাবন্ধুদের সিআরআই-সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সিআরআই-সার্ক) এর পক্ষ থেকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক। ঈদ আপনাদের সকলের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ। ঈদ মোবারক, ঈদ মোবারক, ঈদ মোবারক........।

***** দিদারুল ইকবাল, তাছলিমা আক্তার লিমা, রফিকুল ইসলাম, শহীদুল কায়সার লিমন, লিয়াকত আলী, হাজেরা বেগম, শাওন খান, সুমী খান, সিআরআই-সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সিআরআই-সার্ক), বাড়ী-৩৩৬, সেকশন-৭, রোড-২, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬, বাংলাদেশ। মোবাইল: ০০৮৮-০১৭১১০৫৪৯৮৫, ০১৮১৪২৭৮৩৪৩, ই-মেইল: cri.southasiaradioclub@gmail.com ওয়েবসাইট: www.cri-sarc.blogspot.com

Thursday, May 20, 2010

চীন আন্তর্জাতিক বেতার- এর বাংলাভাষার এফ এম অনুষ্ঠান সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত: ঢাকায় এফএম ১০৩.২ এবং চট্টগ্রামে ১০৫.৪ মেগাহার্জ

চীন আন্তর্জাতিক বেতার- এর
বাংলাভাষার এফ এম অনুষ্ঠান সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত
ঢাকায় এফএম ১০৩.২ এবং চট্টগ্রামে ১০৫.৪ মেগাহার্জ

এক বছরেরও বেশি সময়ের যোগাযোগ ও প্রস্তুতির পর ১৭ মে ঢাকায় চীন আন্তর্জাতিক বেতার ও বাংলাদেশ বেতার আনুষ্ঠানিকভাবে বেতার সেবা সংক্রান্ত চুক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষর করেছে । এ চক্তি অনুযায়ী চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা ও ইংরেজী ভাষার এফ এম অনুষ্ঠান ঢাকা ও চটগ্রামে প্রচার করা হবে । বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসের রাজনৈতিক কাউসিলার ওয়াং ইয়ু ও বাংলাদেশ জাতীয় বেতারের মহাপরিচালক মাহবুবুল আলম আলাদা আলাদাভাবে চীন ও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেন । বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রণালয় ও চীনা দূতাবাসের সাংস্কৃতিক বিভাগের কর্মকর্তারাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ।

জানা গেছে , ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের উপমহাপরিচালক ওয়াং ইয়ুন ফোংয়ের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফরের সময় বাংলাভাষার এফ এম অনুষ্ঠান সম্পর্কে বাংলাদেশের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী ও বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালকের সংগে সার্বিকভাবে আলোচনা করেন । উভয় পক্ষ বেতার ক্ষেত্রে দুই দেশের সহযোগিতা সম্পর্কে আশাবাদী । চুক্তিটির স্বাক্ষর বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিপুল সমর্থন পেয়েছে ।

এ চুক্তির স্বাক্ষর চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে । এম এম অনুষ্ঠান চালু হলে বাংলাদেশের শ্রোতারা আরো স্পষ্টভাবে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের নানা অনুষ্ঠান শুনতে পাবেন । ঢাকায় সি আর আইয়ের প্রচার-তরংগ হচ্ছে ১০৩.২মেগাহার্জ । বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ইংরেজী অনুষ্ঠান এবং বিকেল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বাংলা অনুষ্ঠান প্রচারিত হবে । চটগ্রামে প্রচার-তরংগ হচ্ছে ১০৫.৪ মেগাহার্জ ।এ প্রবার তরংগে বিকেল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বাংলা অনুষ্ঠান প্রচারিত হবে ।

Thursday, March 18, 2010

'সাংহাইয়ে মিলিত হয়ে চমত্কার বিশ্ব মেলা উপভোগ' শীর্ষক জ্ঞান যাচাই প্রতিযোগিতার ঘোষণা


'সাংহাইয়ে মিলিত হয়ে চমত্কার বিশ্ব মেলা উপভোগ'

শীর্ষক জ্ঞান যাচাই প্রতিযোগিতার ঘোষণা


2010-02-17 21:04:41 cri


বন্ধুরা, সাংহাই বিশ্ব মেলা ১ মে থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। বিদেশের ব্যাপক জনগণকে নিজের মাতৃভাষায় বিস্তারিতভাবে সাংহাই বিশ্ব মেলার প্রসঙ্গ, প্যাভিলিয়ন ও কর্মসূচীসহ নানা তথ্য জানানো এবং মানবজাতির জীবনের ওপর শহরের বিশেষ তাত্পর্য বিশ্লেষণ করার জন্য চীন আন্তর্জাতিক বেতার ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত বেতার ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে 'সাংহাইয়ে মিলিত হয়ে চমত্কার বিশ্ব মেলা উপভোগ' শীর্ষক বিশ্বব্যাপী জ্ঞান যাচাই প্রতিযোগিতা সংক্রান্ত ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রচার করবে এবং এ সম্পর্কিত প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে। এতে অংশগ্রহণের জন্য আপনাদের স্বাগত জানাই।
আমাদের বেতারের আয়োজিত অতীতের অন্যান্য প্রতিযোগিতার মতো এবারও আমরা প্রতিটি প্রতিবেদনের শেষে দুটি প্রশ্ন করবো। আমরা শ্রোতাদের উত্তর পত্র থেকে শ্রেষ্ঠ, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার বিজয়ীদের নির্বাচন করবো। তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার বিজয়ী আমাদের আতিথেয়তায় চীন ভ্রমণের সুযোগ পাবেন।
প্রতিযোগিতায় আপনার ভালো ফলাফল অর্জন কামনা করি।



'হাইবাও' তোমাকে নিয়ে বিশ্ব মেলা উদ্যানের ভ্রমণ


2010-02-18 19:24:38 cri


সাংহাই বিশ্ব মেলার মাস্কটের নাম 'হাইবাও' তা দেখতে পাকা চুলের এবং হাসি মুখের নীল রঙের শিশুর মত। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের বিশ হাজারেরও বেশি শিল্পকর্মের মধ্য থেকে তাকে নির্বাচন করা হয়েছে। 'হাইবাও' এর অর্থ হচ্ছে সাগরের মুক্তা। বহু চীনা মানুষ 'বাও' দিয়ে সন্তানের নামকরণ করতে পছন্দ করেন। হাইবাও সমুদ্রে জন্মগ্রহণ করেছে। কারণ সে সারা বিশ্বের অপার স্নেহ ও সমর্থন পেয়েছে, সাংহাই বিশ্ব মেলায় অংশগ্রহণকারী দেশ, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বিশেষ ব্যক্তিবর্গের আদর পেয়েছে। ফলে তাকে 'হাইবাও' বলে ডাকাই উপযুক্ত। আজ আমি আপনাদের নিয়ে সাংহাই বিশ্ব মেলা উদ্যানে গিয়ে ঘুরে বেড়াবো।
প্রথমে আমরা একসাথে সাংহাই বিশ্ব মেলার পাঁচটি প্রধান স্থাপত্য দেখতে যাবো। তা হচ্ছে বিশ্ব মেলা বলয়, চীন ভবন, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, বিশ্ব মেলা কেন্দ্র আর প্রসঙ্গ ভবন। বিশ্ব মেলা বলয় হচ্ছে সাংহাই বিশ্ব মেলার প্রধান প্রবেশ দ্বার। তার ডান ও বাম দিকে সংলগ্ন রয়েছে যথাক্রমে চীন ভবন, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, বিশ্ব মেলা কেন্দ্র আর প্রসঙ্গ ভবন। এ স্থাপত্যগুলো দেখতে একটি পাল তুলে যাওয়া জাহাজের মতো, ঠিক যেন দর্শকদের স্বাগত জানাচ্ছে। চীন ভবনের মূল রং হচ্ছে লাল রং। দর্শকরা এখানে খুব কাছে থেকে চীনের সংস্কৃতি ও রীতিনীতি অনুভব করতে পারবেন। সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হুয়াংফু নদীর পাশে অবস্থিত। রাতে এ ভবন দেখতে একটি আলোকিত শামুকের মতো। বিশ্ব মেলা চলাকালে বিরাটাকারের নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচী এখানেই অনুষ্ঠিত হবে।
সাংহাই বিশ্ব মেলা-২০১০ এর প্রসঙ্গ হচ্ছে 'শহরঃ জীবনকে আরো সুন্দর করে তোলে'। এ প্রসঙ্গকে আরো গভীরভাবে তুলে ধরার জন্য এবারের বিশ্ব মেলায় একটি বিশেষ প্রসঙ্গ ভবন নির্মিত হয়েছে। তাতে শহর, মানুষ ও প্রাণ এবং পৃথিবী ও ভবিষ্যতের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। তা ছাড়া, বিশ্ব মেলা কেন্দ্র হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের অধিবেশন ও প্রেস ব্রিফিং-এর জায়গা এবং ভোজসভা ও মাননীয় অতিথিদের অভ্যর্থনা জানানোর স্থান।
সাংহাই বিশ্ব মেলায় আরো অনেক চমত্কার বিদেশী ভবন রয়েছে। যেমন বৃটেন ভবনের বাইরে বিপুল পরিমাণে আলোকিত শৃঙ্গ রয়েছে। তা বাতাসের সাথে সাথে দুলবে এবং বিভিন্ন রঙ ও নকশা বদলে যাবে। স্পেন ভবনের বাইরের দেওয়াল বেতের লতা দিয়ে বাঁধানো, দেখতে স্পেনের ফ্ল্যামেনকো নৃত্যের পোশাকের মতো। জাপান ভবন দেখতে একটি বেগুনি আভার রেশমগুটির শুঁটির মতো। সংযুক্ত আরব আমিরাত ভবন যেন এক প্রাকৃতিক রঙিন বালিয়াড়ির মতো। সিঙ্গাপুর ভবন দেখতে একটি সুন্দর সংগীত বাক্সের মতো। বলা যায়, সব দেশের ভবনই নিজ নিজ দেশের বিশিষ্ট্যপূর্ণ সংস্কৃতি এবং ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করছে। প্রদর্শনের বিষয়বস্তু হিসেবে ফ্রান্স ভবনে ভ্যান গগ আর রোডিনসহ বিখ্যাত চিত্রশিল্পীদের মূল্যবান শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হবে। ডেনমার্ক ভবনে প্রথমবারের মতো ডেনমার্কের রাষ্ট্রীয় সম্পদ 'ছোট লেজওয়ালা সুন্দরী'র মূর্তি বিদেশি দর্শকদের আকৃষ্ট করবে। ইতালি ভবনে সুস্বাদু খাবারের বিশিষ্ট্যময় জীবনযাপন প্রদর্শিত হবে। ব্রাজিল ভবনে ফুটবলের আকর্ষণীয় শক্তি আর উষ্ণ সাম্বা নৃত্যের সৌন্দর্য্য প্রদর্শন করা হবে।
সাংহাই বিশ্ব মেলা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রের উদ্ভাবন প্রদর্শনীর অন্যতম স্থান। অনেক দেশ নিজের সর্বশেষ প্রযুক্তিগত সাফল্য নিয়ে এসেছে। তা ছাড়া কম কার্বন বিশ্ব মেলা হচ্ছে এবারের বিশ্ব মেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। বিশ্ব মেলা উদ্যানের স্থাপত্যগুলোতে জ্বালানি ও পানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণসহ সৌর শক্তি ও পুনঃব্যবহার্য উপাদান ব্যবহার হয়েছে। বিশ্ব মেলা চলাকালে এক হাজারটিরও বেশি নতুন জ্বালানি চালিত গাড়ি আদর্শ হিসেবে ব্যবহার হবে। উদ্যানে পরিসেবা করা গাড়িগুলো থেকে শূন্য কার্বন নির্গমন হবে।
তা ছাড়া সাংহাই বিশ্ব মেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মহাসম্মিলনী হবে। ১৮৪ দিনব্যাপী মেলা চলাকালে ২০ হাজার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে। বৃটেনের জাতীয় ব্যালে নৃত্য দল ও ফিলাডেলফিয়ার সিমফনি অর্কেস্ট্রাসহ বিশ্বের বিখ্যাত শিল্পী দলগুলো এখানে বিশেষ অনুষ্ঠান পরিবেশন করবে। তা ছাড়া ব্রাজিলের সাম্বা নৃত্য, বুরুন্ডির ডঙ্কা ও সলোমন দ্বীপপুঞ্জের বাঁশিসহ বিভিন্ন অঞ্চলের বিশেষ প্রথা অনুসারে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ অনুষ্ঠানও পরিবেশিত হবে।
বন্ধুরা, এ বার আমি আজকের এ প্রতিবেদনের দু'টি প্রশ্ন করছি। প্রশ্ন দুটি খুব কঠিন নয়, আশা করি, আপনারা সঠিক উত্তর দেবেন।
১। সাংহাই বিশ্ব মেলার মাস্কটের নাম কি?
২। আপনি সাংহাই বিশ্ব মেলার পাঁচটি প্রধান স্থাপত্যের মধ্যে যে কোন দু'টির নাম বলুন।


আপনাদের নিয়ে চীন ভবন দেখা


2010-02-22 15:18:28 cri

বন্ধুরা, সাংহাই বিশ্ব মেলা ১ মে উদ্বোধন হবে। ১৮০ দিনেরও বেশি মেলা চলাকালে সাংহাই বিশ্ব মেলা উদ্যান বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের বন্ধুদের অর্ভ্যথনা জানাবে। আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদের সাংহাই বিশ্ব মেলার স্বাগতিক ভবন – চীন ভবনে নিয়ে যাবো।
চীন ভবন সাংহাই বিশ্ব মেলা উদ্যানের কেন্দ্র স্থল অবস্থিত। এ ভবনে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে চীনের জাতীয় ভবন, চীনের আঞ্চলিক ভবন আর হংকং, ম্যাকাও ও তাইওয়ান ভবন। চীন ভবনকে চীনের রাষ্ট্রীয় নাম কার্ড বলা যায়। এটা হচ্ছে দর্শকদের কাছে থেকে চীনের সংস্কৃতিকে জানা, চীনাদের চিন্তাধারা এবং আধুনিক চীনের মূল্যবোধ অনুভব করার জানালা।
চীনের জাতীয় ভবনের আয়তন সাংহাই বিশ্ব মেলার সব প্রদর্শনী ভবনের মধ্যে সবচেয়ে বড়। এর ছাদ আড়াইটি ফুটবল মাঠের চেয়েও বড়। চীনের জাতীয় ভবনটি গভীর চীনের রীতিনীতি প্রতিফলিত হয়েছে। এর বাইরের দেয়ালের রং হচ্ছে চীনা লাল রং। চীনের জাতীয় ভবনটি দেখতে চীনের প্রাচীন রাজমুকুটের মতো।
চীনের আঞ্চলিক ভবন হচ্ছে বিভিন্ন প্রদেশকে প্রদর্শনের স্থান। এর নকশা চীনের প্রাচীনকালের বহু ঐতিহ্যগত উপাদান ব্যবহার হয়েছে। আঞ্চলিক ভবনের বাইরের বারান্দার দেয়ালে চীনের প্রাচীনকালের রাজবংশের নামের ৩৪টি চীনা শব্দ লেখা রয়েছে। তা দিয়ে চীনের সংস্কৃতির সুদীর্ঘ ইতিহাসকে বুঝা যায়। চীনের সব প্রদেশ সাংহাই বিশ্ব মেলায় নিজেদের প্রদর্শন করবে। তখন আপনারা সাংহাই বিশ্ব মেলার চীনের আঞ্চলিক ভবনে একবার ঘুরে দেখলে চীনের বিভিন্ন অঞ্চলের রীতিনীতির ওপর মোটামুটি একটি ধারণা পাবেন।
এবার আমরা হংকং ভবন, ম্যাকাও ভবন ও তাইওয়ান ভবনে যাব। হংকং ভবনের প্রসঙ্গ হচ্ছে 'সীমাহীন শহর—হংকং'। এ ভবনটি হংকংয়ের ছয়টি বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সম্পর্কিত। যেমন হংকংয়ের বিশেষ ভৌগলিক অবস্থা, সুসম্পন্ন বুনিয়াদী ব্যবস্থা, বিশ্ব ও চীনের মূলভূভাগের শহরগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ, হংকংয়ের সুবিধাজনক পরিবহন ব্যবস্থা, উন্নত মানের তথ্য প্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা, চীন ও পশ্চিমা সংস্কৃতির মিলন, সমৃদ্ধ উদ্ভাবন ও টেকসই উন্নয়নের শ্রেষ্ঠ শহর জীবন ইত্যাদি। ম্যাকাও ভবন দেখতে এক লাবন্য খরগোশের মতো। এর বাইরে পাতলা কাচ দিয়ে সাজানো, এর রং বদলে যায় এবং বিভিন্ন ছবি প্রদর্শন করা যায়। 'খরগোশের' মাথা ও লেজে একটা বেলুন আছে। বেলুনটি ইচ্ছা মতো ওঠা-নামা করতে পারে। বিশ্ব মেলা চলাকালে ম্যাকাও ভবনে আসা দর্শকরা একটি খরগোশ আকারের ফানুস উপহার পাবেন।
ভবনের স্থপতি জানিয়েছেন, তাইওয়ান ভবনের আকার চীনের প্রাচীনকালের খুংমিং লন্ঠন থেকে অনুপ্র্রেরণা পেয়েছে। এ ভবনটি পাহাড়ী আকারের স্থাপত্য, বিরাটাকারের কাচ দিয়ে তৈরি স্বর্গীয় লণ্ঠন আর গোলাকার পর্দা নিয়ে গঠিত। স্বর্গীয় লন্ঠনকে জ্বালিয়ে শুভ জীবন কামনা করা এবং 'প্রাকৃতিক শহর', 'আত্মাযুক্ত শহর' প্রসঙ্গের গোলাকার চলচ্চিত্র দেখা হচ্ছে তাইওয়ান ভবনের প্রধান প্রদর্শনির বিষয়।
বন্ধুরা, এবার আমি এ প্রতিবেদন থেকে দুটি প্রশ্ন করবো। প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে, সাংহাই বিশ্ব মেলা কোন তারিখ উদ্বোধন হবে? দ্বিতীয় প্রশ্ন হচ্ছে, সাংহাই বিশ্ব মেলার চীনের জাতীয় ভবনের রং কী রকম?

আপনাদের নিয়ে সাংহাই ভ্রমণ করি


2010-02-22 15:20:37 cri


বন্ধুরা, সাংহাই বিশ্ব মেলা পরিদর্শনের সময় চীনের মহানগর সাংহাই ভ্রমণ করতে ভুলবে না কিন্তু। আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদের নিয়ে সুন্দর সাংহাই শহর ঘুরে বেড়াবো।
প্রথম ধাপ হিসেবে আমরা সুবিখ্যাত ওয়াইথানে যাবো। সাংহাই শহরের মাতৃ নদী হুয়াংফু নদীর পশ্চিম তীরে দেড় বর্গমিটার এক সংকীর্ণ অঞ্চলে চীন ও পশ্চিমা স্টাইলের প্রায় পঞ্চাশটিরও বেশি বিভিন্ন ধরনের স্থাপত্য রয়েছে। 'ওয়াইথান' নামক এ অঞ্চলকে সাংহাই শহরের দেহরেখা বলা হয়
সন্ধ্যা বেলা হুয়াংফু নদীর পানি সূর্যাস্ত'র আলোতে কমলা রং হয়ে যায়। সে সময় সেখানকার পরিবেশ মনে হবে খুব রোমান্টিক। রাতে দর্শনীয় স্থানের প্রদীপ জ্বালিয়ে সাংহাইয়ের প্রতীকী স্থাপত্য – প্রাচ্য মুক্তা টেলিভিশন টাওয়ার, সাংহাইয়ের সর্বোচ্চ স্থাপত্য – চিনমাও ভবন দেখা যায়। এ স্থাপত্যগুলোর উজ্জ্বলতর আলোতে গোটা ওয়াইথান দেখতে খুবই সুন্দর।
সবাই বলে, সাংহাই হচ্ছে কেনাকাটার স্বর্গ। তাই সাংহাইয়ে আসলে কোথাও কেনাকাটা না করলে আপনি নিঃসন্দেহে অনুতাপ করবেন। সে জন্য আমাদের দ্বিতীয় ধাপে আপনাদের সাংহাইয়ের কেনাকাটার ভালো জায়গায় নিয়ে যাবো। চীনের প্রথম বাণিজ্য সড়ক ---সাংহাইয়ের নানচিং সড়কে বিরাট মার্কেট, এক'শ বছরের ইতিহাস সম্পন্ন পুরনো দোকান, নামকরা ট্রেডমার্ক দোকান আর বৈশিষ্ট্যময় দোকান রয়েছে। তা ছাড়া হুয়াইহাই সড়কও যাওয়ার ভালো জায়গা। সেখানে তরুণতরুণীদের পছন্দ মতো বিভিন্ন ট্রেডমার্কের পণ্য পাওয়া যায়। রাস্তার দু'পাশে বিভিন্ন নকশার দোকানপাট আর ক্ষুদ্র দর্শনীয় স্থান ও পার্কগুলোর সঙ্গে সুমিশ্রনে এক বিশেষ দৃশ্য সৃষ্টি হয়েছে। আপনি সেখানকার রাস্তায় অনেক মজার মজার ভাস্কর্য দেখতে পাবেন।
ঘুরে বেড়ানোর পর আমরা একটু বসে কফি খেয়ে বিশ্রাম নিলে ভালো। হুয়াংহাই রাস্তার নিকটে 'নতুন বিশ্ব মহাচত্বর' হচ্ছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নবোদিত এক পর্যটন ও বিনোদন স্থান। এখানকার স্থাপত্যগুলো বাইরে থেকে দেখতে পুরনো সাংহাইয়ের অধিবাসীদের বসতবাড়ির মতো, কিন্তু ভেতরে গেলে দেখা যাবে এক একটি বার, পশ্চিমা রেঁস্তোরা ও গল্ফ ক্লাব লুগিয়ে আছে। চীন ও পশ্চিমা সংস্কৃতি এখানে নিখুঁতভাবে মিলিত হয়েছে।
সাংহাই একটি আধুনিক মহানগর বটে, তবে এখানে অনেক ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক দর্শনীয় স্থানও রয়েছে। আমাদের তৃতীয় ধাপ হচ্ছে দক্ষিণ চীনের প্রাচীনকালের বিখ্যাত উদ্যান –ইয়ু ইউয়ান। ইয়ু ইউয়ানের ইতিহাস ৪৫০ বছরের। এখানে আগে এক ব্যক্তিগত বাড়ি ছিল। এখন এখানে চীনামাটি, আসবাবপত্র ও ছবিসহ বহু মূল্যবান পুরাকীর্তি সংরক্ষিত আছে। ইয়ু ইউয়ানের পাশে পুরনো চেংহুয়াং মন্দির আছে। কেউ কেউ বলেন, সাংহাই আসলে চেংহুয়াং মন্দির না গেলে সাংহাই না আসার মতো। তাহলে বুঝা যায়, চেংহুয়াং মন্দিরের সাংহাইয়ে শহরে কী বিশেষ মর্যাদা ও প্রভাব আছে। যারা সেখানে গিয়েছিলেন, তারা অবশ্যই সেখানের প্রাচীনকালের বিশিষ্ট্যপূর্ণ স্থাপত্য আর নানা বিশেষ সুস্বাদু খাবার মনে রাখবেন।
অবশেষে আমি আপনাদের সাংহাইয়ের গলিতে নিয়ে যাবো। যদি বলা যায়, গলি হচ্ছে পুরনো পেইচিংয়ের প্রতীক, তাহলে পুরনো সাংহাইয়ের কাছে গলি এক বিশেষ চিহ্নের মতো। সাংহাইয়ের পুরনো শহরাঞ্চলে অনেক সংকীর্ণ বা চওড়া গলি আছে। এ সুযোগে আমি বিশেষ করে চিংআন মন্দির কমিউনিটিতে থাকা ৭০টি 'বিশ্ব মেলা পরিবারের' কথা বলবো। আপনি এখানে সাংহাইয়ের গলি দেখার পাশাপাশি, সাংহাইবাসীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ করতে পারবেন।
বন্ধুরা, এবার আমি এ প্রতিবেদন থেকে দুটি প্রশ্ন করবো। প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে, সাধারণতঃ সাংহাইয়ের কোন অঞ্চলকে এ শহরের দেহরেখা বলা হয়? দ্বিতীয় প্রশ্ন হচ্ছে, 'চীনের প্রথম বাণিজ্য সড়ক' সাংহাইয়ের কোন সড়ককে বলা হয়?
'সাংহাইয়ে মিলিত হয়ে চমত্কার বিশ্ব মেলা উপভোগ'
শীর্ষক জ্ঞান যাচাই প্রতিযোগিতার প্রশ্নমালা

2010-02-22 15:30:51 cri

১। সাংহাই বিশ্ব মেলার মাস্কটের নাম কি?
'হাইবাও'
২। আপনি সাংহাই বিশ্ব মেলার পাঁচটি প্রধান স্থাপত্যের মধ্যে যে কোন দু'টি নাম বলুন।
বিশ্ব মেলা বলয়, চীন ভবন, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, বিশ্ব মেলা কেন্দ্র আর প্রসঙ্গ ভবন
৩। সাংহাই বিশ্ব মেলা কোন তারিখ উদ্বোধন হবে?
সাংহাই বিশ্ব মেলা ১ মে উদ্বোধন হবে
৪। সাংহাই বিশ্ব মেলার চীনের জাতীয় ভবনের রং কী রকম?
চীনা লাল রং
৫। সাধারণতঃ সাংহাইয়ের কোন অঞ্চলকে এ শহরের দেহরেখা বলা হয়?
'ওয়াইথান' নামক এ অঞ্চলকে সাংহাই শহরের দেহরেখা বলা হয়
৬।'চীনের প্রথম বাণিজ্য সড়ক' সাংহাইয়ের কোন সড়ককে বলা হয়?
চীনের প্রথম বাণিজ্য সড়ক ---সাংহাইয়ের নানচিং সড়ক
৭। সাংহাই বিশ্ব মেলা হচ্ছে কততম বিশ্ব মেলা?
৮। সাংহাই বিশ্ব মেলার প্রসঙ্গ কী?

Sunday, February 28, 2010

চীন আন্তর্জাতিক বেতার শ্রোতা সম্মেলন-২০১০ সম্পন্ন

চীন আন্তর্জাতিক বেতার শ্রোতা সম্মেলন-২০১০

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রাচীন- চিয়েন খাইফু


চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই) বাংলা বিভাগের আয়োজনে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো সিআরআই শ্রোতা সম্মেলন-২০১০।
ঢাকার শ্রোতা মো: জুবায়ের হোসেন-এর সর্বপ্রথম রেজিষ্ট্রেশনের মধ্য দিয়ে এবং তার হাতে সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাস রুমের একটি সুদৃশ্য ফোল্ডার ফাইল, সিআরআই এর একটি কোটপিন এবং লটারীর একটি কুপন হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাস রুমের পরিচালক ও সিআরআই এর কর্মকর্তা ইয়াং ওয়েই মিং স্বর্ণা সিআরআই শ্রোতা সম্মেলন-২০১০ এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশস্থ চীনা দূতাবাসের সাংস্কৃতিক বিভাগের কাউন্সিলর ছিয়েন খাইফু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শওকত মাহমুদ, চীনা দূতাবাসের কালচারাল এটাশেই ও সিআরআই বাংলা বিভাগের কর্মকর্তা ওয়াং তান হোং সূবর্ণা, সান্তা-মারিয়াম ফাউন্ডেশনের পরিচালক বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী লিলি ইসলাম, বাংলাদেশ-চায়না রেডিও লিসনার্স ক্লাবের চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউল করিম বেলাল এবং মহাসচিব জিল্লুর রহমান জিলু। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, সিআরআই বাংলা বিভাগের কর্মকর্তা ও সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাস রুমের পরিচালক ইয়াং ওয়েই মিং স্বর্ণা। অনুষ্ঠানের সঞ্চালন করেন, সিআরআই বাংলা বিভাগের সাবেক বিদেশী ভাষা বিশেষজ্ঞ ও সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাস রুমের কনসালটেন্ট এবং শিক্ষক মহিউদ্দিন তাহের।
মহিউদ্দিন তাহেরের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের সাথে নিয়ে মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন।
আসন গ্রহণের পর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশস্থ চীনা দূতাবাসের সাংস্কৃতিক বিভাগের কাউন্সিলর ছিয়েন খাইফু-কে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগতম জানান শ্রোতাবন্ধু নিশাত তামান্না লুৎফা। এরপর অনুষ্ঠানের সভাপতি সিআরআই বাংলা বিভাগের কর্মকর্তা ও সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাস রুমের পরিচালক ইয়াং ওয়েই মিং স্বর্ণা-কে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগতম জানান, সিআরআই-সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাবের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি বিপ্লব কুমার অধিকারী, বিশেষ অতিথি জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শওকত মাহমুদ, চীনা দূতাবাসের কালচারাল এটাশেই ও সিআরআই বাংলা বিভাগের কর্মকর্তা ওয়াং তান হোং সূবর্ণা, সান্তা-মারিয়াম ফাউন্ডেশনের পরিচালক বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী লিলি ইসলাম, বাংলাদেশ-চায়না রেডিও লিসনার্স ক্লাবের চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউল করিম বেলাল এবং মহাসচিব জিল্লুর রহমান জিলু-কে পর্যায়ক্রমে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগতম জানান, সিআরআই-সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাবের সদস্য তানিয়া আক্তার, ক্ষুদে শ্রোতা সাদ, সিআরআই-সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাবের সদস্য ফাতেমা-তুজ-জোহরা, মো:জাকির হোসেন এবং মো:আবু কাউসার।
অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণের পর শুরু হয় আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি চীনা দূতাবাসের সাংস্কৃতিক বিভাগের কাউন্সিলর ছিয়েন খাইফু বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রাচীন। চীন আন্তর্জাতিক বেতার বাংলা বিভাগ এই সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় করেছে। অনুষ্ঠানের সভাপতি সিআরআই বাংলা বিভাগের কর্মকর্তা ও সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাস রুমের পরিচালক ইয়াং ওয়েই মিং স্বর্ণা বলেন, বাংলাদেশে এখন চীনা ভাষা শিক্ষার অনেক সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, যে কেউ চাইলে এখন এই ভাষা শিখতে পারেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথিদের পাশাপাশি আরো বক্তব্য রাখেন, সিআরআই বাংলা বিভাগের বাংলাদেশ সংবাদদাতা মাহমুদ হাশিম এবং শ্রোতা সম্মেলন আয়োজক কমিটির উপ-সমন্বয়কারী সিআরআই-সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব-এর পরিচালক দিদারুল ইকবাল। শ্রোতাদের পক্ষ থেকে দিদারুল ইকবাল সিআরআই এর জন্য বেশ কিছু প্রস্তাব তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশে সিআরআই এর একটি ব্যুারো অফিস চালু করার প্রস্তাব রাখার সাথে সাথে হলভর্তি শ্রোতাবন্ধুরা করতালির মাধ্যমে তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেন। এছাড়া তিনি সিআরআই শ্রোতা সম্মেলন প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি তথা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে নিয়মিত ভাবে আয়োজন করা, বিভাগীয় পর্যায়েও শ্রোতা সম্মেলনের আয়োজন করা, একুশে বই মেলায় প্রত্যেক বছর স্টল করার ব্যবস্থা রাখা, ওয়েবসাইটে আরো সৃজনশীল পরিবর্তন আনাসহ বিভিন্ন ধরনের প্রস্তাব রাখলে প্রতিটি প্রস্তাবের সমর্থন জানান শ্রোতাবন্ধুরা তাদের মুহুর মুহুর করতালির মাধ্যমে।
একুশে বইমেলায় এই প্রথম সিআরআই স্টল দেওয়া, চীনের বসন্ত বা বাঘ উৎসবের উপর একটি স্মৃতিচারণ মূলক আলোচনা সভা, সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাসরুম-এর প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও চীনাদের বসন্ত উৎসব উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন, শ্রোতা সম্মেলনের আয়োজন এবং একুশে বইমেলায় বাংলা একাডেমীর মঞ্চে বাংলা সাহিত্যের অনুবাদ: চীনা ভাষা শির্ষক সেমিনার স্বল্প সময়ের মধ্যে এতগুলো গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সিআরআই বাংলা বিভাগের পরিচালক মাদাম ইউ কোয়াং য়ূএ, সিআরআই বাংলা বিভাগের কর্মকর্তা ও সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাস রুমের পরিচালক ইয়াং ওয়েই মিং স্বর্ণা এবং সিআরআই বাংলা বিভাগের সাবেক বিদেশী ভাষা বিশেষজ্ঞ ও সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাস রুমের কনসালটেন্ট এবং শিক্ষক মহিউদ্দিন তাহের-কে বাংলাদেশের সকল শ্রোতাবন্ধুদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন এছাড়া ঐ সকল অনুষ্ঠানের সংবাদসহ ছবি সিআরআই-এ পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ সংবাদদাতা মাহমুদ হাশিমকেও ধন্যবাদ জানান দিদারুল ইকবাল।
আলোচনা সভায় বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রোতাবন্ধুদেরও বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হয়। ঢাকা বিভাগ থেকে জামালপুরের শ্রোতা সাইফুল আল এমরান মুক্তা, চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে কুমিল্লার শ্রোতা টিপু সুলতান, রাজশাহী বিভাগ থেকে কুড়িগ্রামের শ্রোতা আব্দুল কুদ্দুস মাষ্টার, খুলনা বিভাগ থেকে চুয়াডাঙ্গার শ্রোতা মাষ্টার হায়দারুল ইসলাম প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। তারা সিআরআই এর ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং সাফল্য কামনা করেন।
আলোচনা সভাশেষে সিআরআই এর পক্ষ থেকে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। চীন আন্তর্জাতিক বেতার বাংলা বিভাগের পক্ষে অনুষ্ঠানের সভাপতি সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাস রুমের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও চীনা বেতারের কর্মকর্তা ইয়াং ওয়েই মিং স্বর্ণা প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
এরপর সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাস রুমের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও চীনা বেতারের কর্মকর্তা ইয়াং ওয়েই মিং স্বর্ণা-কে চীনা ভাষা ও সংস্কৃতি প্রসারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে মৈত্রীর বন্ধন জোরদার করতে বিশেষ অবদানের জন্য সিআরআই-সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব এর পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন ক্লাবের পরিচালক দিদারুল ইকবাল এবং ঢাকা শাখার সমন্বয়কারী তাছলিমা আক্তার লিমা।
সম্মাননা স্মারক প্রদান শেষে শুরু হয় অনুষ্ঠানের আরেকটি চমক লটারী ড্র। অনুষ্ঠানের পূর্বে শ্রোতাদের নাম নিবন্ধনের সময় প্রত্যেককে একটি করে কুপন দেওয়া হয় যার একটি অংশ শ্রোতারা নিজের কাছে রেখেছেন এবং আরেকটি অংশ লটারী ড্র-এর বক্সে ফেলেছেন। সেখান থেকে লটারীর মাধ্যমে সাত জন ভাগ্যবান শ্রোতাকে সাতটি ডিজিটাল রেডিও পুরস্কার দেওয়া হয়। লটারী ড্র-তে প্রথম পুরস্কার ডিজিটাল রেডিও বিজয়ীদের কুপন তুলেছেন যথাক্রমে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চীনা দূতাবাসের সাংস্কৃতিক বিভাগের কাউন্সিলর ছিয়েন খাইফু, বিশেষ অতিথি জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শওকত মাহমুদ, চীনা দূতাবাসের কালচারাল এটাশেই ও সিআরআই বাংলা বিভাগের কর্মকর্তা ওয়াং তান হোং সূবর্ণা, সান্তা-মারিয়াম ফাউন্ডেশনের পরিচালক বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী লিলি ইসলাম, বাংলাদেশ-চায়না রেডিও লিসনার্স ক্লাবের চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউল করিম বেলাল (তার পক্ষে মহাসচিব জিল্লুর রহমান জিলু), মহাসচিব জিল্লুর রহমান জিলু এবং অনুষ্ঠানের সভাপতি সিআরআই বাংলা বিভাগের কর্মকর্তা ও সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাস রুমের পরিচালক ইয়াং ওয়েই মিং স্বর্ণা। লটারীর মাধ্যমে ০১২, ০২৪, ০২৯, ০৬৩, ০৯০, ১৬০ এবং ১৮৩ নং কুপন এর ভাগ্যবান শ্রোতাবন্ধুরা সাতটি ডিজিটাল রেডিও উপহার পেয়েছেন। সাতজন বিজয়ীর মধ্যে ছিলেন মাত্র একজন নারী শ্রোতা। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চীনা দূতাবাসের সাংস্কৃতিক বিভাগের কাউন্সিলর ছিয়েন খাইফু বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
অনুষ্ঠানের চতুর্থ পর্বে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বেশ কিছু গান পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি এবং আমন্ত্রিত শ্রোতাবন্ধুরা অত্যন্ত আনন্দের সাথে উপভোগ করেছেন সাংস্কৃতিক পরিবেশনাটি।
শ্রোতা সম্মেলনের সর্বশেষ পর্ব ছিলো সম্মেলনে সকল অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ। লটারীর কুপন নম্বর অনুযায়ী শ্রোতাদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের উপহার প্রদান করা হয়। শ্রোতাবন্ধুদের হাতে উপহার তুলে দেন, সিআরআই বাংলা বিভাগের কর্মকর্তা ও সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাস রুমের পরিচালক ইয়াং ওয়েই মিং স্বর্ণা, সিআরআই বাংলা বিভাগের সাবেক বিদেশী ভাষা বিশেষজ্ঞ ও সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাস রুমের কনসালটেন্ট এবং শিক্ষক মহিউদ্দিন তাহের, বাংলাদেশ-চায়না রেডিও লিসনার্স ক্লাবের চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউল করিম বেলাল, মহাসচিব জিল্লুর রহমান জিলু এবং সিআরআই-সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব এর পরিচালক দিদারুল ইকবাল। উপহারের তালিকার মধ্যে ছিলো বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ, টি-শার্ট, টর্চ লাইট, টাই, বিভিন্ন ডিজাইনের ছবির ফ্রেম, স্কার্ফ, বুকমার্ক, চাইনিজ কালার পেপার কার্টিং ইত্যাদি।
শ্রোতাবন্ধুরা এসব পুরস্কারের পাশাপাশি আরো উপহার পেয়েছেন, সিআরআই এর কোটপিন, ফোল্ডার ফাইল, ম্যাগাজিন পুবের জানালা, অনুষ্ঠান সূচী, চীনা ভাষা শিক্ষার লিপলেট, বুশিয়র এবং সিআরআই-সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব এর বিশেষ প্রকাশনা এবং একুশে বই মেলায় সিআরআই স্টলের বিভিন্ন ছবি ও সংবাদ দিয়ে সাজানো “সিআরআই সমাচার” নিউজ লেটার ইত্যাদি। শ্রোতাবন্ধুরা এতগুলো উপহার সামগ্রী পেয়ে খুবি আনন্দিত হয়েছেন এবং খুশি মন নিয়ে বাড়ী ফিরেছেন।
শ্রোতা সম্মেলনে বাংলাদেশের ছয়টি বিভাগ- ঢাকা বিভাগ থেকে ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, জামালপুর, ময়মনসিংহ এবং কিশোরগঞ্জ, চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষীপুর এবং কুমিল্লা, রাজশাহী বিভাগ থেকে রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, নাটোর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ, খুলনা বিভাগ থেকে খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডঙ্গা, মাগুড়া, নড়াইল, ঝিনাইদহ, সাতক্ষিরা এবং বাগেরহাট, বরিশাল বিভাগ তেকে বরিশাল এবং ভোলা, সিলেট বিভাগ থেকে সিলেট এবং সুনামগঞ্জ সহ সর্বমোট ৩৭টি জেলা থেকে ২৫০জন শ্রোতা, বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল ও পত্রিকা থেকে ৩০জন সাংবাদিক এবং ৩০জন সাংস্কৃতিক কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মৃদুল কান্তি চক্রবর্তী এবং বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সাবেক সহকারী আঞ্চলিক পরিচালক শামসুল হক দিশারী বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে শ্রোতা সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে চীন ও বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ নানা তথ্য ও আলোকচিত্র প্রদর্শিত হয়।
শ্রোতা সম্মেলনটি সফল করে তুলতে সার্বিক ভাবে কাজ করেছেন, ইয়াং ওয়েই মিং স্বর্ণা, মহিউদ্দিন তাহের, মাহমুদ হাশিম, দিদারুল ইকবাল, মোস্তফা কামাল, শহীদুল কায়সার লিমন, তাছলিমা আক্তার লিমা, লুৎফার রহমান, রফিকুল ইসলাম, মো:সাকিব, কবির খান, হারুন অর রশিদ, সুমি খান, সোহেল রানা, তানিয়া আক্তার, রওশন আরা, ফাতেমা-তুজ-জোহরা প্রমূখ।
উল্লেখ্য শ্রোতা সম্মেলন আয়োজনের পূর্বে এই প্রথম শ্রোতা সম্মেলন আয়োজক কমিটি গঠণ করা হয়েছিলো। কমিটির বিভিন্ন পদে ছিলেন, মাদাম ইউ কোয়াং য়ূএ (পরিচালক- চীন আন্তর্জাতিক বেতার বাংলা বিভাগ)- উপদেষ্টা, ইয়াং ওয়েই মিং স্বর্ণা (পরিচালক- সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাসরুম)- সম্মেলন আয়োজক প্রধান, মহিউদ্দিন তাহের (কনসালটেন্ট ও শিক্ষক- সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাসরুম এবং সিআরআই বাংলা বিভাগের সাবেক বিদেশী ভাষা বিশেষজ্ঞ), মাহমুদ হাশিম (বাংলাদেশ সংবাদদাতা- সিআরআই বাংলা বিভাগ)- সম্মেলন আয়োজক উপ-প্রধান, জিল্লুর রহমান জিলু (মহাসচিব- বাংলাদেশ-চায়না রেডিও লিসনার্স ক্লাব)- সম্মেলন আয়োজক কমিটি সমন্বয়কারী, দিদারুল ইকবাল (পরিচালক- সিআরআই-সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব)- সম্মেলন আয়োজক কমিটি উপ-সমন্বয়কারী, এছাড়া মোস্তফা কামাল (ঢাকা), শহীদুল কায়সার লিমন (গাজীপুর), তাছলিমা আক্তার লিমা (ঢাকা), লুৎফার রহমান (ময়মনসিংহ) এবং সোহেল রানা (কুষ্টিয়া)- শ্রোতা সমন্বয়কারী।
শ্রোতা সমন্বয়কারীদের নিয়ে আবার শ্রোতা সম্মেলন ব্যবস্থাপনা উপ-কমিটি গঠণ করা হয়। তাদের সাথে সহযোগী হিসেবে ছিলেন রফিকুল ইসলাম (ঢাকা), মো:সাকিব (ঢাকা), কবির খান (গাজীপুর), হারুন অর রশিদ (রাজশাহী), সুমি খান (রাজবাড়ী), তানিয়া আক্তার (ঢাকা), রওশন আরা (কুষ্টিয়া), ফাতেমা-তুজ-জোহরা (ঢাকা) প্রমূখ।


মায়মুন জাহান
সিআরআই-সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব
বাড়ী- ৩৩৬, সেকশন- ৭, রোড- ২,
মিরপুর, ঢাকা-১২১৬, বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের পত্র-পত্রিকায়: সিআরআই শ্রোতা সম্মেলন-২০১০














Wednesday, February 24, 2010

সিআরআই শ্রোতা সম্মেলন- ২০১০

সিআরআই শ্রোতা সম্মেলন- ২০১০

2010-02-23 16:31:10 cri

চীন আন্তর্জাতিক বেতারের শ্রোতা সম্মেলন- ২০১০ আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি বেলা ৩টায় রাজধানী ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত জাং শিয়েন-ই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
বাংলাদেশে সিআরআই-এর শ্রোতা-বন্ধুদের সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। প্রতিটি ক্লাব থেকে একজন এবং স্বতন্ত্র শ্রোতারা সম্মেলনে যোগ দিতে পারবেন।
আগ্রহী শ্রোতা-বন্ধুদের আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি বেলা ১২টার মধ্যে ১০৭১৩০০৭২৩৩, ০১৯১৩৪৬৮৩০১ ও ০১৮১৪২৭৮৩৪৩ নম্বরে ফোন করে নাম নিবন্ধনের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

Thursday, February 18, 2010

সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাসরুম এর প্রথম বর্ষপূর্তি এবং চীনের বসন্ত উৎসব-২০১০

সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাসরুম এর
প্রথম বর্ষপূর্তি এবং চীনের বসন্ত উৎসব-২০১০

বাংলাদেশ আর চীনের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিগত মিল
দু’দেশের আর্থ-সামাজিক বন্ধনকে আরো সংহত ও
বহুমুখী করতে পারে- চীনা রাষ্ট্রদূত চাং সিয়েন-ই



বাংলাদেশ আর চীনের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিগত মিল দু’দেশের আর্থ-সামাজিক বন্ধনকে আরো সংহত ও বহুমুখী করতে পারে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর উত্তরায় মমতাজ মহল কনভেনশন সেন্টারে সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাসরুম এর প্রথম বর্ষপূর্তি এবং চীনের বসন্ত উৎসব উৎযাপনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চীনের রাষ্ট্রদূত চাং সিয়েন-ই এ কথা বলেন। মহামান্য রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, “উভয় দেশ পরস্পরের পুরনো বন্ধু। শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ বহুক্ষেত্রে দু’দেশের হাজার বছরের বন্ধন আছে।“ এ বন্ধন দু’দেশের সম্পর্কের জোরালো বহুমূখীকরণের বড় ভিত্তি হতে পারে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, শান্তা-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজীর উপাচার্য প্রফেসর ড: শামসুল হক, শান্তা-মারিয়াম ফাউন্ডেশনের অন্যতম পরিচালক বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী লিলি ইসলাম ও সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাসরুম এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ইয়াং ওয়েই মিং স্বর্ণা।
শান্তা-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজীর উপাচার্য বলেন, চীনের চান্দ্র নববর্ষ শুরু হয় বসন্তের প্রথম দিনে। তাই এই দিনটি তাদের বসন্ত উৎসবের আনন্দে মিশে বৃহত্তম উৎসবে পরিণত হয়। তিনি আরো বলেন, এবছর বাঙালী ও চীনাদের বসন্ত মাত্র একদিনের ব্যাবধানে শুরু হওয়ায় এবারের উৎসব দু’টি জাতির সংস্কৃতির মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে শান্তা-মারিয়াম ফাউন্ডেশন এবং চীন আন্তর্জাতিক বেতারের দু’টি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে চীনা দূতাবাসের সাংস্কৃতিক কাউন্সেলর ছিয়েন খাইফু, শান্তা-মারিয়াম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইমামুল কবীর শান্ত এবং শিক্ষা ও আর্থ সামাজিক অঙ্গনের তিন শতাধিক শীর্ষ প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। চীন আন্তর্জাতিক বেতারের পুরনো শ্রোতা ও সিআরআই- সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাবের পরিচালক দিদারুল ইকবাল এবং সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাবের পক্ষে ঢাকা শাখার সমন্বয়কারী তাছলিমা আক্তার লিমা, সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, তানিয়া আক্তার, গাজীপুর শাখার সমন্বয়কারী শহিদুল কায়সার লিমন, সদস্য কবীর খান, রাজশাহী শাখার সমন্বয়কারী হারুন-অর-রশিদ, কুষ্টিয়ার সোহেল রানা ও রওশন আরা শ্রোতা প্রতিনিধি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সিআরআই বাংলা বিভাগের সাবেক বিদেশী ভাষা বিশেষজ্ঞ ও সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাস রুমের কনসালটেন্ট এবং শিক্ষক মহিউদ্দিন তাহেরের নান্দনিক উপস্থাপনায় চীনা ও বাংলা ভাষায় নানা রকম উদযাপনী তৎপরতার মধ্যে বাঙালীদের কন্ঠে চীনা গান ও পালা, চীনা নারীর কন্ঠে বাংলা গান বিশেষ করে ইয়াং ওয়েই মিং স্বর্ণার কন্ঠে বাংলা গান, বিশিষ্ট শিল্পী লিলি ইসলাম, লীনা তাপসী ও ড: মুশাররাত শবনম-এর গান, শান্তা-মারিয়াম ইউনিভার্সিটির ছাত্র শিক্ষকদের গান-নাচ এবং চপস্টিকস প্রতিযোগিতা উপস্থিত দর্শকদের মাতিয়ে তুলেছিলো।
চপস্টিকস প্রতিযোগিতাটি ছিলো অত্যন্ত আকর্ষনীয়, আনন্দদায়ক এবং মজার। এই প্রতিযোগিতায় উপস্থিত অতিথিদের মধ্য থেকে পাঁচ জন-কে আমন্ত্রন জানানো হয়। চীনা দূতাবাসের মহামান্য রাষ্ট্রদূত চাং সিয়েন-ই, সিআরআই- সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাবের পরিচালক দিদারুল ইকবাল সহ আরো তিনজন অতিথি এই চপস্টিকস প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে দুটি চপস্টিকস বা কাঠি, একটি খালি পাত্র এবং আরেকটি পাত্রে বেশ কিছু খোসা ছড়ানো বাদাম দেওয়া হয়। দু’মিনিট সময়ের মধ্যে দুটি কাঠির সাহায্যে যে যত বেশি বাদাম খালি পাত্রে সঠিক ভাবে তুলে রাখতে পারবে তিনি হবেন প্রতিযোগিতার বিজয়ী। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চীনা দূতাবাসের মহামান্য রাষ্ট্রদূত চাং সিয়েন-ই সবচেয়ে বেশি বাদাম তুলে বিজয়ী হলেও তিনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী অন্য চারজনের চীনের রঙ্গিন পেপার কার্টিং উপহার হিসেবে তুলে দেন।
সান্ধ্যভোজের পূর্বে প্রধান অতিথি চীনা দূতাবাসের মহামান্য রাষ্ট্রদূত চাং সিয়েন-ই সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাসরুম এর প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কেক কাটেন। সান্ধ্যভোজের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
উল্লেখ্য, একবছর আগে চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই) এবং শান্তা-মারিয়াম ফাউন্ডেশন (এসএমএফ)-এর মধ্যে বাংলাদেশে চীনা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রসারে সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাসরুম প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই ক্লাসরুম তার শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে গত বছর ২৯ অক্টোবর-২০০৯। এখানে বাঙালীদের চীনা ভাষা শেখানোর পাশাপাশি চীনাদেরও বাংলা শেখানো হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের সংখ্যা প্রায় পঞ্চাশ। বড়দের জন্য তিন থেকে ছয় মাসের সার্টিফিকেট এবং এক বছরের ডিপ্লোমা কোর্স এর পাশা পাশি, শিশুদের ছয় মাসের কোর্স এবং পর্যটকদের জন্যেও মাস ব্যাপী চীনা ভাষার কোর্স রয়েছে এই সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাসরুম-এ।

Tuesday, February 16, 2010

বাংলাদেশে চীনের বসন্ত উৎসব


বাংলাদেশে চীনের বসন্ত উৎসব

১৬ ফেব্রুয়ারী’২০১০ সন্ধ্যে ৬টা ৩০ মিনিটে উত্তরা ঢাকায় পালন করা হবে চীনের বৃহত্তম উৎসব “বসন্ত উৎসব”।
বাঙালীদের পহেলা বৈশাখের মতো বসন্ত উৎসব চীনাদের পক্ষে বছরের সবচেয়ে বড় উৎসব।
সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাসরুম এর প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী এবং চীনের বসন্ত উৎসব-২০১০ উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে।
চীনের ঐতিহ্যিক রীতিনীতি অনুসারে চীনের বসন্ত উৎসব চীনের চান্দ্রবর্ষের শেষ মাসের ২৩ তম দিন থেকে নতুন বছরের প্রথম মাসের ১৫তম দিন অর্থাৎ লন্ঠন উৎসব পর্যন্ত স্থায়ী হয়, বসন্ত উৎসব উদযাপনের সময় প্রায় তিন সপ্তাহ ।
বাংলাদেশে চীনাদের বসন্ত উৎসবকে স্বাগত জানানোর জন্য বাংলাদেশস্থ চীনের মহামান্য রাষ্ট্রদূত মি. চাং শিয়েন ই এই মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বাঙালী এবং চীনা বন্ধুদের নিয়ে একসাথে আনন্দ উপভোগ করবেন এবং ডিনার করবেন।
অনুষ্ঠানে সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাসরুম এর পরিচালক ইয়াং ওয়ে মিং (স্বর্ণা), সিআরআই বাংলা বিভাগের সাবেক বিদেশী ভাষা বিশেষজ্ঞ মহিউদ্দিন তাহের, বাংলাদেশের সংবাদদাতা মাহমুদ হাসিম, সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাসরুম এর অন্যান্য কর্মকর্তা, সান্তা মারিয়াম ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা এবং শ্রোতা ক্লাবের পক্ষ থেকে সিআরআই-সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সিআরআই-সার্ক) এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক দিদারুল ইকবাল, ঢাকা শাখার সমন্বয়কারী তাছলিমা আক্তার লিমা, সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, মুহাম্মদ ফারুক হুসাইন, তানিয়া আক্তার, গাজীপুর শাখার সমন্বয়কারী শহিদুল কায়সার লিমন, ঢাকা কলেজ শাখার সমন্বয়কারী কবির খান, রাজশাহী শাখার সমন্বয়কারী হারুন-অর-রশিদ, কুষ্টিয়া শাখার সমন্বয়কারী সোহেল রানা হূদয় উপস্থিত থাকবেন।


স্থান:
মমতাজ মহল কনভেনশন সেন্টার
হাউস- ১১, রোড- ৭/ডি, সেকশন- ৯,
উত্তরা, ঢাকা-১২৩০ (হাউস বিল্ডিং এর বিপরিত পাশে)


বাঘ বর্ষের প্রথম দিন , খুশির দিন-

চীনের বিভিন্ন জায়গায় নতুন চান্দ্র বছরের প্রথম দিন

আনন্দের সংগে উদযাপিত

2010-02-15 20:01:57 cri
১৪ ফেব্রুয়ারি হল চীনের চান্দ্র পঞ্জিকা অনুযায়ী বাঘ বর্ষের প্রথম দিন। নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর জন্য চীনের বিভিন্ন জায়গা বণার্ঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এ দিন সকালে চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া বাও কুয়াং সি যুয়াং স্বায়তশাসিত অঞ্চলের থিয়ান ইয়ান জেলায় গিয়ে সেখানকার গ্রামবাসিদের সংগে বসন্ত উত্সব উদযাপন করেছেন।
চীনের বাঘ বর্ষের প্রথম দিন একই সাথে ভালোবাসা দিবস ছিল। অনেক যুবক যুবতী তাদের প্রিয়জনের সংগে ঘুরে বেড়িয়েছে। এ দিকটিও নববর্ষের এ দিনটিকে আরো আনন্দ ঘন করে তুলেছে।

Sunday, February 14, 2010



চীনের বসন্ত উৎসব

2010-02-13 21:10:06 cri

খ্রীষ্টানদের বড় দিনের মতো বসন্ত উত্সব চীনাদের পক্ষে বছরের সবচেয়ে বড় উতসব। যুগ পরিবর্তনের সংগে সংগে বসন্ত উতসবের বিষয়বস্তুর কিছু পরিবর্তন হয়েছে , নাগরিকদের বসন্ত উতসব পালনের কায়দারও কিছু পরিবর্তন হয়েছে , কিন্তু চীনা নাগরিকদের জীবনে ও চিন্তাভাবনায় বসন্ত উতসবের অবস্থানের এখনো পরিবর্তন হয় নি ।
  ঐতিহাসিক তথ্য অনুসারে চীনাদের বসন্ত উতসবের ইতিহাস চার হাজার বছরেরও বেশী দীর্ঘ । তবে তখন এই উতসবের নাম বসন্ত উতসব ছিল না , উতসবের দিনতারিখও স্থির করা হয় নি । খৃষ্টপূর্ব দু হাজার এক শ' সালের সময় তখনকার অধিবাসীরা বৃহষ্পতিগ্রহের একবার প্রদক্ষিণের সময়কে এক সুই বলে অভিহিত করতেন , সেই সময় বসন্ত উতসবের নাম ছিল সুই । খৃষ্টপূর্ব এক হাজার সালের কাছাকাছি সময় তখনকার অধিবাসীরা বসন্ত উতসবকে চীনা ভাষায় ' নিয়েন ' বলে ডাকতেন । ' নিয়েন ' অর্থ বছর , তবে তখনকার বছরের অর্থ ছিল সুফসল । যে বছর খাদ্যশস্যের ভালো ফলন হয়েছে , সেই বছরকে ফসলের নিয়েন বলা হতো , যে বছর খুব ভালো ফসন হয়েছে , সেই বছরকে ভালো ফসলের নিয়েন বলা হতো ।
চীনের ঐতিহ্যিক রীতিনীতি অনুসারে চীনের বসন্ত উতসব চীনের চান্দ্রবর্ষের শেষ মাসের ২৩ তমো দিন থেকে নতুন বছরের প্রথম মাসের ১৫তমো দিন অর্থাত্ লন্ঠন উত্সব পর্যন্ত স্থায়ী হয় , বসন্ত উতসব উদযাপনের সময় প্রায় তিন সপ্তাহ । এই সময়পর্বে বসন্ত উতসবের আগের দিন অর্থাত পুরনো বছরের শেষ দিন ও নতুন বছরের প্রথম দিন অর্থাত বসন্ত উতসবের প্রথম দিন হচ্ছে বসন্ত উতসবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুই দিন ।
বসন্ত উতসবকে স্বাগত জানানোর জন্য চীনের শহরাঞ্চল ও পল্লী অঞ্চলের অধিবাসীরা নানা ধরনের প্রস্তুতিমূলক কাজ করেন । চীনের পল্লী অঞ্চলে প্রস্তুতির কাজ বছরের শেষ মাসের প্রথম দিক থেকেই শুরু হয় । কৃষকরা বাড়ীঘর পরিষ্কার করেন , লেপতোষক ধুয়ে পরিষ্কার করেন , বাজার থেকে বসন্ত উতসবের খাওয়া ও মেহমানকে খাওয়ানোর খাদ্যদ্রব্য কিনেন , যেমন মিষ্টিজাতীয় খাদ্য , কেক , ফলমুল , মাছ-মাংস ইত্যাদি । বড় বড় শহরে উতসবের প্রস্তুতিও উত্সবের অনেক দিন আগে থেকে শুরু হয় । সাংস্কৃতিক বিভাগগুলো ও বিভিন্ন শিল্পী দল উতসবকালের সাংস্কৃতিক কর্মসূচী তৈরীর কাজে ব্যস্ত, টেলিভিশন কেন্দ্র বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেয় , বিভিন্ন পার্কে নানা ধরনের মেলা আয়োজনের প্রস্তুতি নেয় আর বিভাগীয় দোকানগুলো নাগরিকদের চাহিদা মেটানোর জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে তথা বিদেশ থেকে পন্যদ্রব্য জোগাড় করার প্রচেষ্টা করে । একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে , বসন্ত উত্সবকালে চীনাদের কেনাকাটা তাদের গোটা বছরের কেনাকাটার এক-তৃতীয়াংশেরও বেশী ।
চীন একটি বড় দেশ , কাজেই বিভিন্ন জায়গায় বসন্ত উতসব উদযাপনের রীতিনীতি ভিন্ন । তবে বসন্ত উতসবের আগের দিন রাত্রে অর্থাত্ পুরনো বছরের শেষ দিন রাত্রে পরিবারের সবাই এক সংগে মিলে বছরের শেষ খাওয়া সম্পন্ন করার প্রথা সমগ্র দেশে প্রায় একই । দক্ষিণ চীনে বছরের শেষ খাবারের টেবিলে দশ-বারোটি তরিতরকারী আছে , এগুলোর মধ্যে টোফু অর্থাত্ সয়াবীনের দই ও মাছ থাকতে হবে । কারণ এই দুটি খাবারের চীনা উচ্চারণের সংগে ঠিক সমৃদ্ধির চীনা শব্দের উচ্চারণের অনেক মিল আছে । এতে নতুন বছরে চীনাদের আশা-আকাংখা প্রতিফলিত হয়েছে । উত্তর চীনে বছরের শেষ খাবারের টেবিলে চিয়াও চি নামক এক খাবার অবশ্যই থাকতে হবে । সেদিন সন্ধ্যায় পরিবারের সবাই এক সংগে মিলে চিয়াও চি তৈরী করেন । চিয়াউ চি চীনের এক জনপ্রিয় খাবার , চিয়াও চি মাংসের পুর দেয়া এক কুলী পিঠে , বছরের শেষ রাতে পরিবারের সকল সদস্য মিলিতভাবে চিয়াও চি তৈরী করে ফুটন্ত পানির মধ্যে সেদ্ধ করে ভিনেগা ও অন্যান্য মশলার সংগে খান ।
বছরের শেষ রাতে সারারাত জেগে কাটানোও বসন্ত উতসবের এক রেওয়াজ । সেই রাতে লোকেরা নাচগান ও গল্প করার মধ্য দিয়ে বছরের শেষ রাত কাটান । অতীতে বছরের শেষ রাতে নতুন বর্ষকে স্বাগত জানানোর জন্য নাগরিকরা পটকাবাজি ফাটাতেন , নিরাপত্তা ও পরিবেশ দুষনের কারণে পেইচিংসহ চীনের কিছু বড় শহরে পটকাবাজি ফাটানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে । বসন্ত উতসবের প্রথম দিন অর্থাত চান্দ্র বর্ষের প্রথম দিন সকালে পরিবারের সবাই নতুন জামা-পোশাক পরে মেহমানদের স্বাগত জানান অথবা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের বাড়ীতে যান । সেদিন সবাই পরস্পরের সংগে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং চা , বাদাম ও মিষ্টি খেয়ে গল্প করেন । চীনে এরকম রেওয়াজও আছে যে গত এক বছরে যদি আত্মীয় বা বন্ধুবান্ধবের মধ্যে ঝগড়া বা গন্ডগোল হয় , বসন্ত উতসবের সময় এক পক্ষ আরেক পক্ষের বাড়িতে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে গেলে দুজনের বিরোধ মিটে গেছে বলে মনে করা হয় ।
বসন্ত উতসবের কর্মসুচী বৈচিত্র্যময় । স্থানীয় অপেরা ও চলচ্চিত্র অনুষ্ঠান , সিংহনাচ , বিভিন্ন ধরনের মেলা ইত্যাদি কর্মসুচীর কল্যানে সর্বত্রই উতসবের আনন্দমুখর পরিবেশ বিরাজ করে । অবশ্য বেশীর ভাগ লোক বাড়িতে বসে টেলিভিশন কেন্দ্রের বসন্ত উতসব উপলক্ষে তৈরী বিশেষ অনুষ্ঠান উপভোগ করেন ।
বসন্ত উতসব চলাকালে বাড়ীর প্রবেশদ্বারে দ্বি-চরণ শ্লোক ও নতুন বছরের দেওয়াল চিত্র এঁটে দেয়া আর বাড়ীর ফটকে অথবা সদর দরজায় নানা ধরনের চীনা লন্ঠন ঝুলানোও বসন্ত উতসবের এক রেওয়াজ । বসন্ত উতসবের আগে বাজারে প্রচুর দেওয়াল চিত্র ও দ্বি-চরণ শ্লোক পাওয়া যায় , নাগরিকদের সুখী জীবনের ছবি , সুন্দর ফুল ও মনোরম দৃশ্যের চিত্র অত্যন্ত জনপ্রিয় । বসন্ত উতসবের লন্ঠন প্রদর্শনীও দেখার মতো , চীনা লন্ঠন চীনের এক ঐতিহ্যিক শিল্পকর্ম , সেগুলোর কোনোটার আকার খরগোসের মতো , কোনোটা ছাগলের মতো , কোনোটা টেলিভিশন কার্টুনের কোনো জনপ্রিয় চরিত্রের আকার ।
জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের সংগে সংগে চীনাদের বসন্ত উতসব উদযাপনের উপায়ের পরিবর্তন হচ্ছে , এখন পর্যটনে যাওয়া চীনাদের বসন্ত উতসবের ছুটি কাটানোর এক নতুন বিকল্প হয়েছে ।

Saturday, February 13, 2010

চীন আন্তর্জাতিক বেতার শ্রোতা সম্মেলন-২০১০

চীন আন্তর্জাতিক বেতার শ্রোতা সম্মেলন-২০১০

শ্রোতা সম্মেলনে আপনার/আপনাদের অংশগ্রহন নিশ্চিত করতে রেজিষ্ট্রেশন করুন

সুপ্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার বিকেল তিনটায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হবে সি.আর.আই শ্রোতা সম্মেলন-২০১০। আপনারা যারা এই শ্রোতা সম্মেলনে অংশ গ্রহণ করতে আগ্রহী তারা এক্ষুনি রেজিষ্ট্রেশন করিয়ে ফেলুন। শ্রোতা সম্মেলনে অংশ গ্রহনের জন্য এবার ডাকযোগে আমন্ত্রণপত্র পাঠানোর পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তি। যাতে ডাকযোগে আমন্ত্রণপত্র পাওয়ার অপেক্ষায় না থেকে আপনার/ আপনাদের মূল্যবান অংশগ্রহনে কোন রকম বাধাগ্রস্থ কিংবা ঝামেলা না হয়। আপনার/ আপনাদের অংশ গ্রহন নিশ্চিত করতে আমরা একটি মোবাইল ম্যাসেজের মাধ্যমে নিমন্ত্রণ বার্তা পাঠানো এবং শ্রোতা সম্মেলনে অংশগ্রহনের রেজিষ্ট্রেশন ব্যবস্থা চালু করেছি।
শ্রোতা সম্মেলনে আপনার/আপনাদের অংশগ্রহন নিশ্চিত করতে রেজিষ্ট্রেশনের জন্য চারটি মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করা হচ্ছে।
নাম্বার গুলি হচ্ছে-
০১৭১৩-০০৭২৩৩, ০১৮১৪-২৭৮৩৪৩,
০১৯২৮-২৮০৭৫৭ এবং ০১৯১৩-৪৬৮৩০১
আপনাদের কাছে শ্রোতা সম্মেলনের নিমন্ত্রণ ম্যাসেজ পাঠানো হচ্ছে ০১৯২৮-২৮০৭৫৭ এই নাম্বার থেকে। অনুগ্রহ করে একাধিক নাম্বারে আপনার রেজিষ্ট্রেন করবেননা। তাহলে তা বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তাই যে কোন একটি নাম্বারে আপনার সঠিক রেজিষ্ট্রেশন নিশ্চিত করুন।
শ্রোতা সম্মেলনে আপনার অংশগ্রহন নিশ্চিত হোক এ প্রত্যাশা করছি।


দিদারুল ইকবাল
সম্মেলন আয়োজক কমিটি উপ সমন্বয়কারী
পরিচালক- সিআরআই-সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব

সি.আর.আই শ্রোতা সম্মেলন-২০১০ আয়োজন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

সি.আর.আই শ্রোতা সম্মেলন-২০১০
আয়োজন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

সি.আর.আই শ্রোতা সম্মেলন-২০১০ আয়োজন উপলক্ষ্যে ১২ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যে সাতটায় একুশে বই মেলা বর্ধমান হাউসে সিআরআই-কনফুসিয়াস ক্লাসরুমের পরিচালক মিস ইয়াং ওয়ে মিং (স্বর্ণা)-এর সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিআরআই বাংলা বিভাগের সাবেক বিদেশী ভাষা বিশেষজ্ঞ মহিউদ্দিন তাহের, সিআরআই-সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সিআরআই-সার্ক) এর পরিচালক দিদারুল ইকবাল, গাজীপুরের শ্রোতা শহিদুল কায়সার লিমন, ঢাকার তাছলিমা আক্তার লিমা, ময়মনসিংহের লুৎফর রহমান এবং কুষ্টিয়ার সোহেল রানা। উপরেউল্লেখিত ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে এবং যৌথ সিদ্ধান্তে শ্রোতা সম্মেলনের ব্যানার, শ্রোতা সম্মেলন আয়োজক কমিটি, ব্যবস্থাপনা উপ-কমিটি এবং সন্মাননা স্মারক প্রাপ্ত ব্যক্তিদের নামের তালিকা অনুমোদন করেন আলোচনা সভার সভাপতি মিস ইয়াং ওয়ে মিং (স্বর্ণা)।
সি.আর.আই শ্রোতা সম্মেলন-২০১০ আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার বিকেল তিনটায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হবে।

শ্রোতা সম্মেলন আয়োজক কমিটি

শ্রোতা সম্মেলন আয়োজক কমিটিতে যারা রয়েছেন তারা হলেন,
উপদেষ্টা-
মাদাম ইউ কোয়াং য়ূএ (পরিচালক- সিআরআই বাংলা বিভাগ),
সম্মেলন প্রধান-
সিআরআই-কনফুসিয়াস ক্লাসরুমের পরিচালক মিস ইয়াং ওয়ে মিং (স্বর্ণা),
সম্মেলন উপ প্রধান-
সিআরআই বাংলা বিভাগের সাবেক বিদেশী ভাষা বিশেষজ্ঞ মহিউদ্দিন তাহের এবং বাংলাদেশ সংবাদদাতা মাহমুদ হাসিম,
সম্মেলন আয়োজক কমিটি সমন্বয়কারী-
সিআরআই লিসনার্স ক্লাব অব বাংলাদেশ এর মহাসচিব জিল্লুর রহমান জিলু,
সম্মেলন আয়োজক কমিটি উপ সমন্বয়কারী-
সিআরআই-সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সিআরআই-সার্ক) এর পরিচালক দিদারুল ইকবাল,
শ্রোতা সমন্বয়কারী-
শহিদুল কায়সার লিমন (গাজীপুর), তাছলিমা আক্তার লিমা (ঢাকা), মো: লুৎফর রহমান (ময়মনসিংহ), সোহেল রানা (কুষ্টিয়া) এবং মো: মোস্তফা কামাল (ঢাকা)।

ব্যবস্থাপনা উপ-কমিটি

ব্যবস্থাপনা উপ-কমিটিতে যারা রয়েছেন-
অভ্যর্থনা, রেজিষ্ট্রেশন-
তাছলিমা আক্তার লিমা (সমন্বয়কারী), সুমি খান/ রফিকুল ইসলাম, রওশন আরা লাবনী (সহযোগী সমন্বয়কারী),
যোগাযোগ, তথ্য ও ডকুমেন্টেশন-
শহিদুল কায়সার লিমন (সমন্বয়কারী), নুর মোহাম্মদ, আব্দুল্লাহ আল নোমান (সহযোগী সমন্বয়কারী),
খাদ্য-
মো: মোস্তফা কামাল (সমন্বয়কারী), সোহেল রানা, কবির খান, হারুন-আর-রশিদ (সহযোগী সমন্বয়কারী),
মঞ্চ সাজসজ্জা, ডেকোরেশন, সাউন্ড সিস্টেম-
মো: লুৎফর রহমান (সমন্বয়কারী), মো: শহীদ, কমল (সহযোগী সমন্বয়কারী)।
শ্রোতা সম্মেলন আয়োজক কমিটির উপদেষ্টা ব্যতিত অন্যান্য সদস্য আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারী-২০১০ সন্ধ্যে আটটায় বইমেলায় আবার মিলিত হবে।


দিদারুল ইকবাল
সম্মেলন আয়োজক কমিটি উপ সমন্বয়কারী
পরিচালক- সিআরআই-সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব


CRI Listener’s Conference Committee-2010

Date & Time: 26 February’2010, 03:00 P.M,
Place: National Press Club, Dhaka.


Adviser
1. Yu Guangyue
Director
Bangla Service
China Radio International
008610-68892299, 008610-68892420
Conference Chief
2. Yang Wei Ming (Shorna)
Director
CRI-SMF Confucius Classroom
02-7912968, 02-8950471,
Deputy Conference Chief
3. Mohiuddin Taher
Ex. Foreign Expert
Bangla Service
China Radio International
01720-191197
4. Mahmud Hashim
Bangladesh Correspondent
Bangla Service
China Radio International
01730-097031
Conference Organizing Committee Coordinator
5. Zilur Rahman Zilu
Secretary General
CRI Listeners Club Bangladesh
01713-007233
Deputy Conference Organizing Committee Coordinator
6. Didarul Iqbal
Director
CRI- South Asia Radio Club
01814-278343, 01711-054985, 01556-343472
Listener’s Coordinator

7. Shahidul Kaysar Limon, Listener, Gazipur,
01928-280757, 01718-434363, 01911-758533,
8. Taslima Akter Lima, Listener, Mirpur, Dhaka,
01672-303732
9. Lutfur Rahman, Listener, Mymensingh,
01913-468301
10. Sohel Rana Redoy, Listener, Kushtia,
01715-669554
11. Md.Mostafa Kamal, Listener, Dhaka,
01670-215001

Friday, February 12, 2010

বাংলা সাহিত্যের অনুবাদ: চীনা ভাষায়- শীর্ষক সেমিনার

বাংলা সাহিত্যের অনুবাদ:

চীনা ভাষায়- শীর্ষক সেমিনার

2010-02-11 21:49:56 cri


বাংলা একাডেমীতে ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে 'বাংলা সাহিত্যের অনুবাদ: চীনা ভাষায়' শীর্ষক সেমিনার। মাসব্যাপী অমর একুশে সেমিনারের অংশ হিসেবে বাংলা একাডেমী এ সেমিনারের আয়োজন করেছে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করবেন বিশিষ্ট সাংবাদিক, দৈনিক সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা বিভাগের কর্মকর্তা ও সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাসরুমের পরিচালক মিস ইয়াং ওয়েই মিং। আলোচনা করবেন ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের রাজনৈতিক কাউন্সিলর মি. ওয়াং য়্যূ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের চীনা ভাষা বিভাগের প্রধান মো. আফজাল হোসেন, চীনা দূতাবাসের সাংস্কৃতিক এটাশে মিস ছাও ইয়ান হুয়া ও চীন বেতারে বাংলা বিভাগের সাবেক বিশেষজ্ঞ ও সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাসরুমের কনসালটেন্ট ও শিক্ষক মহিউদ্দিন তাহের।

--মাহমুদ হাশিম, বইমেলা, বাংলা একাডেমী, ঢাকা।

Thursday, February 11, 2010

চীনরে বসন্ত উৎসব নিয়ে আলোচনা সভা-২০১০















Tuesday, February 9, 2010

একুশে বই মেলায় চীন আন্তর্জাতিক বেতার









































































































































































































































































































































































































































CRI's Excellent Audiences' Club Award 2013

CRI's Excellent Audiences' Club Award 2013

China's Travel Island Hainan Contest Award